চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর হাসপাতালে এক রোগী আত্মহত্যা করেছে।
মোঃ কাদির স্টাফ রিপোটার
চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর হাসপাতালে অসুস্থতার যন্ত্রণার সজ্জাও না করতে পেরে জেলার সদর হাসপাতালের ওয়াশরুমে রোগী আত্মহত্যা করেন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর হাসপাতালের ওয়াশরুম থেকে তোয়াজ্জেম হোসেন (৭০) নামের এক রোগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
(২২ সেপ্টেম্বর)রোজ রবিবার বিকাল ৪টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার হাসপাতালের নতুন ভবনের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের ওয়াশরুমের দরজা ভেঙ্গে মরদেহ টি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে নিহত তোয়াজ্জেম হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মৃত দাউদ আলির ছেলে তোয়াজ্জেম হোসেন।
এসময় নিহতের স্বজনদের দাবি, বৃদ্ধ তোয়াজ্জেম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি তোফাজ্জম হোসেন অতিরিক্ত অসুস্থতার যন্ত্রণা সইতে না পারাই আজ রবিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়াশরুমের মধ্যেই আত্মহত্যা করেন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন আমাদের কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এসময় তিনি বলেন, (২২ সেপ্টেম্বর) রোজ রবিবার সকালের দিকে এক এক রোগী পেটে ওমাথা ব্যাথা নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ রবিবার দুপুরের দিকে ওয়ার্ডের ওয়াশরুমের জানালার গ্রিলে গামছা পেচিয়ে তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এসময় নিহতের মেয়ে লাইলি খাতুনের সাথে কথা বললে তিনি যানান, আমার বাবা তোয়াজ্জেম হোসেন মাথা ও পেটের সমস্যায় অনেক দিন ধরেই ভুগছিলেন। এর বেশ কিছু দিন আগেও আমাদের বাড়িতে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি পরিবারের লোকজন দেখে ফেলাই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেননি আজ রবিবার অতিরিক্ত অসুস্থ হলে আমার বাবাকে সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করি । কিন্তু আমার বাবা দুপুরে ওয়াশরুমে যান গিয়ে অনেক সময় পার হলেও সে আর বাইরে বের না হওয়ায় বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হয়। পরে ওয়াশরুমের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পাই আমার বাবা জানালার সাথে গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমাদের ধারণা অতিরিক্ত অসুস্থতায় যন্ত্রণা আমার বাবা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।এদিকে ওয়ার্ডের দায়িত্বরত থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজমুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আজ বিকেলে ওষুধ দিতে আসলে স্বজনরা জানান, বৃদ্ধ তোয়াজ্জেমকে ওয়াশরুমে গিয়েছেন। অনেকক্ষন পার হয়ে গেলেও সে বাইরে না আসায় আমাদের সবার মনে সন্দেহ হয়। পরে অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ না পেলে দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই আমরা,সাথে সাথে বিষয়টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে যানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
আরো পড়ুন।
http://শহীদ সবুজের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন শ্রীবরদী সরকারি কলেজ শিক্ষকমন্ডলী