টেকনাফে জমি বিরোধের জের ধরে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে প্রতি পক্ষকে সন্ত্রাসী সাজানোর পাঁয়তারা
শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ, (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
জমিদার কর্তৃক জমিবিক্রির সময় চৌহদ্দি ঠিক করে না দেয়ায় ঐ জমির চর্তুদিকের মাথা কিলায় কেউ জমি ক্রয় করলে হয়ে যায় সন্ত্রাসী, জবরদখলকারী ও লুটপাট কারী।
এইরকম একটি ঘটনা ঘটেছে গত ৩১ আগষ্ট ( জুমাবার) কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড জাদিমুরা বৃটিশ পাড়া এলাকায়।
তথ্যানুসন্ধান ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে ঐ এলাকার পুরানা জমিদার মরহুম আবুল মন্জুর মেম্বারের পিতা মরহুম আবুল হোসেন সওদাগর।
তিনি দীর্ঘ বহুবচর পুর্বে বিএস খতিয়ান ১২৪২০ দাগের আন্দরে ৪০ শতক জমি বিক্রি করেছিল স্থানীয় বৃটিশ পাড়াএলাকার জহির গংদের। ঐদাগের আন্দরে মোট জমির পরিমান ছিল ৭ কানি। তার মধ্য থেকে একই এলাকার মরহুম মাস্টার খলিলুর রহমানের ছেলে জাফর আলম ক্রয় করে ৫ কানি জমি।
কিন্তু বিক্রেতা মরহুম আবুল হোসেন সওদাগর তৎকালীন বিক্রির সময়ে ক্রেতাদের চৌহদ্দি ঠিক করে না দেওয়ায় ঐ দাগের আন্দরে ৭ কানি পরিমাণ জমি জহির গংদের দাবী করে।
সে সময়ে তাদের ক্রয়কৃত ৪০ শতক জমির মাথা কিলায় বর্তমানে অন্যান্য জমির মালিকদের কাছ থেকে কেউ জমি ক্রয় করতে চাইলে জহিরগংয়ের ফরিদ আলম,জাফর আলম,ও মনোয়ার বেগম যোগ সাজশে ক্রেতা দের জমি না কেনার জন্য বাধা দেয়।
ক্রেতা একই এলাকার মৃত, আব্দুশুক্ররের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম,এই প্রতিবেদ কে জানায়,আমি জমি ক্রয়করতেছি একই দাগের আন্দর মৃত,আজিজুর রহমানের মালিকনাধীন ৪০ কড়া জমি তার ৩ ছেলে মোঃকাশিম,মোঃ হাশিম ও আবুবকরের কাছ থেকে ক্রয় করে গত ৩০ আগষ্ট সীমানা নির্ধারণ করার সময় জহির গংয়ের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা চালায়।
একপর্যায়ে টেকনাফ থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষ কে যার যার কাগজ পত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন।সেলিমের বক্তব্য হল তারা থানায় কোন কাগজ পত্র দেখাতে নাপারায় পুলিশ আমাদের কে যাতায়তের রাস্তা ঠিক রেখে সীমানা দিতে বলে।
এঘটনায় প্রতি পক্ষ গ্রুপের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি পেইজবুক পেইজ থেকে মোহাম্মদ সেলিম,মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে সিরাজ,ফাহাদ,মোঃ করিম,মোঃ তারেক,মৃত,আলী আহমদের ছেলে বেলালউদ্দিন,আক্তার হোসেন,আব্দুল মালেক ও দিল মোহাম্মদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ কে জড়িয়ে
সন্ত্রাসী, জবর দখলকারী,ও লুটপাটকারী বলে আখ্যা দিয়ে অপ প্রচার চালায়।
এছাড়াও জহিরগং তাদের একটি মেয়ে ছেনুয়ারা বেগম কে বাদী করে আমি মোঃ সেলিম কে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলার আসমী করেছিল। দীর্ঘ ১৮ টি বছর আমাকে ঐ মামলার গ্লানি টানতে টানতে বিগত ২০২৩ ইং সালে আদালত আমাকে বে কসুর খালাস দেয়।
আমরা এর তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানায়। এঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকায় বিশৃংখল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
যে কোন মুহুর্তে এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করাহচ্ছে। প্রশাসনকে এব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রেখে অপ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।
আরো পড়ুন।
http://সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের দাবিতে ছাত্র-জনতার মহা সমাবেশ