টেকনাফে প্রায় ২৯ কোটি টাকার ২৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার,মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক

টেকনাফে প্রায় ২৯ কোটি টাকার ২৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার,মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা অভিযান চালিয়ে ২৮

 

শামসুল আলম শারেক ,টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রতিনিধি।

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা অভিযান চালিয়ে ২৮ কোটি ৭৫ পাচাত্তার লক্ষ টাকা মূল্যের ২৯ কেজি ১৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা উদ্ধার করা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় দুই মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন,উখিয়া ১৩ নং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে ইয়াহিয়া খান (৪৫) এবং মিয়ানমার সুইজা মংডু এলাকার মৃত মীর আহমেদের ছেলে আনোয়ার সাদেক (৪০)।

টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,রবিবার (১১ আগস্ট) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ ফুলের ডেইল নামক গ্রামে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা স্বর্ণের একটি বড় চালান একটি বাড়ীতে লুকায়িত রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত উত্তর ফুলের ডেইল গ্রামে অবস্থান কালে সন্দেহভাজন বাড়ীটিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়ীতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন দুইজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল উক্ত চোরাকারবারীদের দুইটি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের ব্যাগের ভিতর থেকে ২৮, কোটি ৭৫ পাচাত্তর লক্ষ টাকা মূল্যের ২৯ কেজি ১৫ গ্রাম বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী টাকা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারী শাখায় জমা রাখা হবে।
আটককৃত ২ জন আসামীর বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ টেকনাফের হ্নীলা কেন্দ্রিক একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালান ইয়াবা পাচার করে আসছে। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম হলেন, হ্নীলা পূর্ব সিকদার পাড়ার মৃত মৌলভী মোস্তাকের ছেলে
ডাঃ কালু। ডাঃ কালুর নিকট আত্মীয় হ্নীলা ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্য সদস্যরা এই সিন্ডিকেটে জড়িত। আটককৃতদের দ্রুত রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে সচেতন মহল দাবী করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *