টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও মিয়ানমারের সাথে কুটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন জরুরি

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও মিয়ানমারের সাথে কুটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন জরুরি

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও মিয়ানমারের সাথে কুটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন জরুরি

শামসুল আলম শারেক ,টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রতিনিধি।

কক্সবাজারের টেকনাফে যেসব এলাকায় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে সেসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও স্থানীয়দের চাকুরি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অতিসত্তর মিয়ানমারের সাথে কুটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে অন্তর্তিকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আহবান জানিয়েছেন উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দূর্বৃত্ত কর্তৃক অপহরণ ও নির্যাতনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনা পরিদর্শনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শুধু নিজেদের উন্নয়ন চেয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট খুন, গুম, অপহরণসহ আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখেনি। ফলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার মানুষের জান মালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে। ভুক্তভোগীরা চাকরি পায়নি। যাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার এ সরকারকে করতে হবে।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ছমিরা আক্তার। এসময় সে ৭ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবীগুলো হচ্ছে যে সব এলাকায় রোহিঙ্গারা বসবাস করে সেই সব এলাকায় স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রোহিঙ্গারা শিবিরের বাইরে এবং ভিতরে কোনো দোকান, ব্যবসা, চাকরি করতে পারবেনা,
অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, যে সব রোহিঙ্গারা আইডি কার্ড, জম্ম নিবন্ধন এবং পাসপোর্ট নিয়ে অবাধে চলাফেরা করছে তাদের সেই সব ডকুমেন্ট বাতিল করা, কোনো রোহিঙ্গা শিশু বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে পারবেনা, এনজিওদের বরাদ্দকৃত স্থানীয়দের জন্য ৩০% সুযোগ সুবিধা এবং ৭০% স্থানীয়দের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরিতে নিয়োগ করতে হবে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ ও এদেশে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে হবে।
এছাড়া গত মঙ্গলবার অপহৃত ও নির্যাতিত দুদু মিয়া ও তার দুই ছেলে তারেক এবং রাসেলকে দেখতে যান সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। এসময় তিনি তাদের সাথে কথা বলেন এবং শারিরীক খোঁজখবর নেন ও অপহরণ বিষয়ে মনোযোগ সহকারে শুনেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী, বদিউর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড হাসান ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মো শাহাদত হোসেন, হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী,পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল,পৌর যুবদলের সদস্যসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও মিডিয়াকর্মী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *