টেকনাফে সুপারি বাগানে  পুলিশের অভিযান ৪ মানব পাচারকারীর দালাল আটক, ১২ জন নারী শিশু উদ্ধার।

টেকনাফে সুপারি বাগানে  পুলিশের অভিযান ৪
মানব পাচারকারীর দালাল আটক, ১২ জন নারী শিশু উদ্ধার।

টেকনাফে সুপারি বাগানে  পুলিশের অভিযান ৪
মানব পাচারকারীর দালাল আটক, ১২ জন নারী শিশু উদ্ধার।

শামসুল আলম শারেক , টেকনাফ (কক্সবাজার)।

 

কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় চার সদস্যকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। ধৃতরা হচ্ছে- টেকনাফ সদরের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মো. কাশেমের পুত্র নুরুল আমিন (২৫), মো. কেফায়েত উল্লাহর পুত্র  নুরুল আফসার (১৯), হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র মিনহাজ উদ্দিন (২০) ও  নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার জাহাজমারা এলাকার রফিক সরকারের পুত্র মোঃ আল আমিন (২৪)। এসময় ১২ জন রোহিঙ্গা নারী শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোর রাত তিনটারদিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরীর পর্যটন বাজারে সুপারি বাগানের ভিতর সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা জোর পূর্বক কিছু নারী ও শিশুদেরকে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে আটক করে রাখার সংবাদ পায়। তৎক্ষনাৎ পুলিশ ওই জায়গার সুপারি বাগানের পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়। এসময় আরো ৯-১০ জন পালিয়ে যায়।
এছাড়া মানব পাচারের শিকার ৯ জন নারী, ৩ জন শিশুসহ মোট ১২ জন’কে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়- তারা বাস্তুচ্যুত মায়ানমার রোহিঙ্গা নাগরিক এবং তারা উখিয়া-টেকনাফ থানাধীন বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে বসবাস করে আসছে। তারা আরে জানায়-  আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন, অধিক বেতনে চাকুরী ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা পূর্বক ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়া যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবাসহ ৩-৪ দিন যাবৎ ধাপে ধাপে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জোরপূর্বক আটক রাখে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং স্থানীয় লোকজনদের নিকট হতে প্রাপ্ত পলাতক পাচারকারীরা হচ্ছে-  টেকনাফ সদরের লেঙ্গুরিল এলাকার হাজী আমির আহমেদের পুত্র ফয়সাল(২৫), একই এলাকার  আজিমুল্লাহ(২৭), পুরান পল্লান পাড়ার ইসমাইল(২৬), মো. আয়ুবের স্ত্রী  ফেরদৌস আক্তার (৩৮), মো. আয়ুবের পুত্র মোঃ ইউনুছ(২১), মোঃ রফিক(১৯), দক্ষিন লম্বরির হাফেজ আহমদের পুত্র সাইফুল্লাহ(৪০)। তাদের কে পলাাতক আসামী করা হয়েছে।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান- সংঘবদ্ধ মানব-পাচার চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশী ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরাণার্থীদের নিয়ে মানব পাচারের অপরাধ সংঘটিত করে আসছে।  ধৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরো পড়ুন।

 

http://কিশোরগঞ্জে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারকে পেটালো যাত্রীর স্বজনরা।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *