পিরোজপুরে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
মোঃ আবুল বাসার সাইফুল স্টাফ রিপোটার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরবর্তীত পরিস্থিতিতে সম্পৃতি ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বিএনপি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করবে না। এখন আমাদের নিজ দায়িত্ব নিয়ে আমাদের অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে যারা আইনশৃঙ্খলা ভন্ডুল করবে তাদের প্রতিহত করতে হবে। ভন্ডুলকারীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনির হাতে তুলে দিতে হবে এ ব্যাপারে আমরা কোন রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করব না।
গনঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয় ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া হলেও বিএনপির পদবঞ্চিত স্বার্থেন্বেশী একদল বিদ্রোহী নেতারা আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে ব্যক্তি দল ভারি করার চেষ্টা করছেন। দলের বড় ধরনের ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপির দলে কোন ঠাঁই নেই, যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তারা আমাদের দলের কেউ না। যারা বিএনপির প্রোগ্রামে একদিনের জন্য হলেও এসেছে তারা আমাদের কর্মী, আর যারা স্বার্থের জন্য এক সেকেন্ডের জন্যও আওয়ামী লীগের দলের মিছিল মিটিং-এ যোগ দিয়েছে তারা আমাদের কেউ না। তাদের দায়ভার আমরা নিব না, আমাদের দলীয় কোন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা, লুটতাজারা, ভাঙচুর, চাঁদাবাজীর অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি ।
আসন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজা’কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র আছে বলে আমরা সঙ্কিত দেশকে সংকটে ফেলার জন্য আওয়ামী লীগ বহুমূখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তাই বিএনপি নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিএনপি অফিস কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসান খান সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাবেক থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বর্তমান কাউখালী থানায় কর্মরত ওসি হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি অফিসে পালন করার পরে আমাদের অফিসটাকে হুমায়ুনের নেতৃত্বেই পুলিশ বাহিনী দিয়ে ভাংচুর করেছে। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে একটি বিষ্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে এবং সেই মামলা অনুয়ায়ী পুলিশ আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাসি করে হয়রানি করেছে, আমাদের নেতা কর্মীদের বিনা অপরাধে ধরে এনে মেরেছে, এমনকি খাবার পর্যন্ত দেয় নাই। বাসায় গিয়ে মহিলাদের গালাগালি করছে, এত নির্যাতন করছে যে আয়না ঘরে যে নির্যাতন হত এবং সেখানে যারা নির্যাতন করত তাদের একজন মনে হয় তিনি, গভীর রাতে নেতাকর্মীদের ধরতে গিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে, মহিলাদের বলছে আপনার স্বামীকে পেলে ডিম থেরাপী দিব, সে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের মত আচরণ করেছিল একজন আমলা তা সে মনে করে নাই। আমরা আপনাদের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এই অফিসারকে চাকুরিচ্যুত সহ বিচার চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মিজানুর রহমান দুলাল, সদস্য সচিব মো: আবু হাসান খান, যুগ্ম আহবায়ক মো: রফিকুল ইসলাম ফরাজি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন।
http://চাঁদপুর শাহরাস্তিতে বন্যাদুর্গতদের মাঝে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ বিতরণ