শরণখোলায় চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীর দুর্ভোগ।

শরণখোলায় চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীর দুর্ভোগ।

শরণখোলায় চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীর দুর্ভোগ।

মোঃ আবুল বাসার সাইফুল ক্রাইম রিপোর্টার।

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা চলছে মাত্র দুইজন চিকিৎসক দিয়ে। দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলার ৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা পাচ্ছে না রুগীরা।
সরকারী এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন দুইশ থেকে আড়াইশ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। বেড, কেবিন ও ফ্লোরে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী। এছাড়া প্রতিদিন জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসেন অসংখ্য রোগী। প্রতিদিন এতো রুগীর চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে একদিকে যেমন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দুজন চিকিৎসককে, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অত্র এলাকার জনগণ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন দপ্তরের ২১ টি শুন্য পদের বিপরীতে চারজন চিকিৎসক দিয়ে রুগীর চিকিৎসা সেবার কাজ চলে আসছিলো। সম্প্রতি দুইজন চিকিৎসককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা কোভিড হাসপাতালে সংযুক্তিতে পাঠানো হয়েছে।
রবি ও সোমবার সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আউটডোর ও জরুরি বিভাগে প্রচুর সংখ্যক রোগীর লাইন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত বেডের পাশাপাশি মেঝেতে এবং করিডোরে বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। অনেকক্ষণ সিরিয়ালে দাড়িয়ে থেকে ডাক্তার দেখাতে না পেরে বহু রোগী ফিরে যাচ্ছেন। চিকিৎসা নিতে আসা রায়েন্দা বাজারের বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন কয়েকদিন যাবত জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছি হাসপাতালে এসে ডাক্তার না পেয়ে ক্লিনিকে যাচ্ছি। তাফালবাড়ি গ্রামের ফুলমিয়া বলেন নাতিকে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম হাসপাতালে ডাক্তার নেই, ক্লিনিকে দেখানোর মতো সামর্থ্য নেই তাই ফিরে যাচ্ছি আগামীকাল আবার আসতে হবে। হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের ভর্তি রুগীরা অভিযোগ করে জানান, এখানে ডাক্তার কম থাকায় তারা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশফাক হোসেন বলেন, আমাদের দুজন ডাক্তারকে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছ, এমনকি সময়ের অভাবে সকল রুগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। রোগীর চাপে সময় মতো খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম হচ্ছেনা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, চিকিৎসকের অভাবে সকল রোগীর সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। চারজন চিকিৎসকের দুইজন চিকিৎসককে খুলনা মেডিকেল কলেজে সংযুক্ত করায় চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। আমারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উপজেলার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্রুত চিকিৎসকসহ শূন্য পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

 

আরো পড়ুন।

 

http://শাহরাস্তিতে যুবদল নেতা জুবায়েরের উদ্যোগে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *