লোকমান ইসলাম রানা
সম্প্রতি ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সারাদেশে বেশ নীরবতা হয়ে পড়েছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সুযোগে মাদক ও পতিতা ব্যাবসায়িরা হয়ে ওঠেছে জমজমাট। মায়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ উখিয়া থেকে ভিন্ন ভিন্ন মাদক ও রোহিঙ্গা প্রবেশ করেন শহর জুড়ে। এ মাদক ও রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়ছে জেলায় জেলায়। শহরের হোটেল মোটেল জোন এর বেশ কিছু দালাল চক্র রোহিঙ্গা মেয়েদের হোটেলে জিম্মি করে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এসব হোটেলে মাদক কারবারী রা এসে আশ্রয় নিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে এ মাদক। বলতে গেলে অনেক টা খোলামেলা ভাবেই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা,গাঁজা, বিদেশি মদ ও পতিতা ব্যাবসা।শহরের গোলদিঘি পাড়,আইবিপি রোড, লাইট হাউজ, সৈকত পাড়া, কলাতলী আদর্শ গ্রাম, বেশ প্রকাশ্য হয়ে ওঠেছে মাদক ও পতিতা ব্যাবসা।সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতার কারণেই প্রকাশ্যে বেড়েছে মাদকে ও পতিতার বিস্তার। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবীরা জানান মাদক ও পতিতা ব্যাবসা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।অনুসন্ধান এ গিয়ে এলাকার বেশ কিছু লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় লাইট হাউজ কটেজ জোন ও সৈকত পাড়া এলাকায় মাদক কারবারী ও পতিতা ব্যবসায়ীদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। তারা জানায় সন্ধা হলেও বেড়ে যায় মাদক কারবারী দের দূরত্ব । নাম গোপন রাখায়ই সৈকত পাড়ার এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাই সৈকত পাড়া এলাকায় ইয়াবা ও বিদেশি মদ ব্যাবসায়ির মধ্যে রয়েছে এক বড় সিন্ডিকেট যা বড় থেকে শুরু করে ছোট ছেলে দেরকে পর্যন্ত এ মাদক সিন্ডিকেট এ জিম্মি করে তাদের হাতে করে বিভিন্ন হোটেলে পৌঁছে দিয়ে আসেন এসব মাদক,যেখানে বেশ কিছু হোটেলের মালিকরা পর্যন্ত এ মাদক ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছে যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মেয়ে এনে দেহ ব্যবসা করান।লাইট হাউস পাড়া ও সৈকত পাড়া সমাজ প্রতিনিধিদের সাথে কথা বললে তারা জানায়।অদ্ধশত হোটেলের মালিকরা ব্যবসার আড়ালে মাদক ও পতিতা ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে যায়। স্থায়ী সমাজ প্রতিনিধি জানাই আমরা তাদেরকে মাদক পতিতা এবং অবৈধ ব্যবসায় বাধা সৃষ্টি করলে তারা আমাদেরকে প্রাণ নাসের হুমকি দেই। রাতের আঁধারে চলাচলের সময় মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের লোকজন দ্বারা আমাদের উপর হামলা চালায় এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। সিন্ডিকেটের প্রধান দের রয়েছে প্রশাসনের হাত যার কারণে তাদের অপকর্মে বাধা দিতে আসা লোকজন দের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকিও দিতে থাকেন।যার কারণে তাদেরকে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস হয়ে ওঠেনি। সে সুযোগে তারা তাদের অপকর্ম দিন দিন বৃদ্ধি করে আসেন। অর্ধশত হোটেলে হওয়া অপকর্মের মধ্যে কয়েকটি হোটেলের নাম জানান ঐ বাসিন্দা। লাইট হাউজ কটেজ জোনে রয়েছে, হোটেল বেলাভূমি, হোটেল সি টাউন,ক্লাসিক রিসোর্ট, গ্রামীন কটেজ,সবুজ কটেজ একি জায়গায় আরো কয়েকটি হোটেল রয়েছে নাম না জানা।এবং সৈকত পাড়ায় রয়েছে,ওশান এম্পায়ার কটেজ,তালেব গেস্ট হাউস, সিলভার বীচ কটেজ,ওশান ভিউ কটেজ,কুমিল্লার ধানসিঁড়ি রিসোর্ট।এসব হোটেলে রোহিঙ্গা মেয়েদের জিম্মি করে দেহ ব্যাবসা থেকে শুরু করে ইয়াবা, মদ, গাঁজা পর্যটক জিম্মি করে ব্লাকমেইল করা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছেন এসব হোটেল ও মাদক কারবারীরা। পাশাপাশি জানান এসব সিন্ডিকেটের গডফাদার মাফিয়াদের যতদিন আইনের আওতায় আনা হবেনা ততদিন এসব মাদক পতিতা ব্যাবসা বন্ধ করা যাবে না।স্হানীয় ও সচেতন মহলের দাবি এসব মাদক কারবারী ও পতিতা ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট দের অতি শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হক বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
আরো পড়ুন।
http://ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় দুই মাদক ব্যাবসায়ী আটক।