কক্সবাজার হোটেলে রুম না পেয়ে বালিয়াড়িতে রাত কাটাচ্ছেন পর্যটক।

কক্সবাজার হোটেলে রুম না পেয়ে বালিয়াড়িতে রাত কাটাচ্ছেন পর্যটক।

কক্সবাজার হোটেলে রুম না পেয়ে বালিয়াড়িতে রাত কাটাচ্ছেন পর্যটক।

লোকমান ইসলাম রানা।

সাপ্তাহিক ছুটিতে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এর আগমনে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে সমুদ্র শহর কক্সবাজার। পর্যটকদের অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে তাদের আসবাবপত্র নিয়ে অবস্থান করেছেন বালিয়াড়িতে। শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোথাও কোনো হোটেল কক্ষ খালি নেই।
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, দরিয়ানগর- হিমছড়ির ঝরনা-পাথুরে সৈকত ইনানী-পাটুয়ারটেক-টেকনাফ সমুদ্রসৈকত- মাথিন কূপ-নেচার পার্ক-ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক-রামুর বৌদ্ধ পল্লিসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো এখন জমজমাট। রুম না পেয়ে কক্সবাজার ছাড়তে বাধ্য হয় পর্যটক।

কক্সবাজারের অনেক হোটেল মালিকও সচেতন মহল দাবি করেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া দ্বিগুণ করেছে।এতে প্রশাসনের অভিযান না থাকায় গলাকাটা বাণিজ্য করার সুযোগ পেয়েছে বলে জানান।
শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর সকাল থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বালিয়াড়িতে ভিড় করেছে লাখো পর্যটক। বালিয়াড়ির সামনে নীল জলরাশিতেও মানুষের ভিড়। সবাই মেতেছেন বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাসে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক জয়নাল বলেন, গতকাল রাতে কক্সবাজারে এসে পৌঁছেছি। রাত থেকে এখনো রুম পাইনি। বাধ্য হয়ে সৈকতের চেয়ারে রাত কাটিয়েছি। রুম যখন পাচ্ছি না তাই বাধ্য হয়ে হয়ে চলে যাচ্ছি।পাশাপাশি আনিছ নামে আরেক পর্যটক জানান তারা ভোরে পরিবারের সাত সদস্য নিয়ে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছি। এখনো পর্যন্ত রুম পাইনি। কটেজে দুটি রুম পেয়েছি সেটি মানসম্মত না। উলটো প্রতি রাত ১০ হাজার করে চাচ্ছে। এখন সৈকতে পা ভিজিয়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
আবদুল্লাহ নামে আরেক পর্যটক বলেন বাস থেকে নেমে এখনো রুম পাইনি। রুম খুঁজতেছি। কিন্তু এখনো সৈকতে পা রাখার সুযোগ ও হয়নি।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ডায়মন্ড কাশেম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। হোটেল রুম খালি নেই।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানান কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের আগমন হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম সৈকতে দেখা যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সে কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

আরো পড়ুন।

 

http://বাঁশখালী পরিবহন ভাড়া নৈরাজ্যের এবং এস আর পরিবহন সাভির্সের কাউন্টার স্থাপনের দাবিতে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *