খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানাকে একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পাহাড়ী শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় পাহাড়ী বাঙালীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষের কক্ষে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে অবরুদ্ধ করে রাখে পাহাড়ী শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১ টার পর গণপিটুনি দেয়া হলে ঐ শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সদর উপজেলা থেকে চেঙ্গী স্কয়ার পর্যন্ত পাহাড়ী বাঙালী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা স্থাপনা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশসহ ৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহত সোহেল রানার বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। মামলায় অব্যহতি পাওয়ার পর তিনি আবার চাকরীতে ফেরত আসলে পাহাড়ী শিক্ষার্থীরা এর বিরোধীতে শুরু করে। তবে এ ঘটনায় প্রশাসনের কেউ কথা বলছেন নারাজ।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা সদরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শহরে সেনাবাহিনী পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃদা জানান, সোহেল রানা নামে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন এবং ৫ আহত হয়েছেন দুর্বৃত্তদের দ্বারা। এবং পরিস্থিতি শিতিল না হওয়ায় পর্যন্ত এখনো পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন।
http://খাগড়াছড়িতে সংঘাতের জেরে সহিংসতা ও নাশকতা রোধে ১৪৪ ধারা জারি