শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাগড়াছড়িতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতনিবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
এসময় পুলিশ সুপার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহোদয়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, খাগড়াছড়িতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধ্বসে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর ভারী বর্ষণ এবং পাহাড় ধ্বসে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। বাড়ি-ঘরে পানি ওঠায় খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে সাধারন মানুষ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গত মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশষ্য মজুদ ও অর্থ রয়েছে বলেও জানান পার্বত্য উপদেষ্টা।
তিনি সকলকে ভাই ভাই হিসেবে বসবাস করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পূনর্গঠন নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, এবারের পরিষদ গঠন দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে। নতুন পরিষদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে দু‘জন প্রতিনিধিও রাখা হবে।
বিকালে উপদেষ্টা মহোদয় এবং খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা, প্রফেসর বোধিসত্ব দেওয়ান, মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, সেফালিকা ত্রিপুরা ও প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, গতকাল খাগড়াছড়িতে বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। অনেকেই পানিবন্দী হন। আগস্ট মাসে ৩টি বন্যা দেখেছে খাগড়াছড়ির মানুষ।
আরো পড়ুন।