খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনালে ২ - ১ গোলে মহালছড়ি জোন'কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মারিশ্যা জোন।
মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে শুরু হয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। খেলার ৫ মিনিটের মাথায় মঞ্জুরুল আলমের গোলে মারিশ্যা ১ গোল করে এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের ২০ মিনিটের মাথায় আবারো একটি মঞ্জুরুলের গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় মারিশ্যা জোন। দ্বিতীয়ার্ধর ১৫ মিনিটে একটি গোল করে গোলের ব্যবধান কমিয়ে আনে মহালছড়ি জোন। দ্বিতীয়ার্ধের অবশিষ্ট খেলায় উভয় দল পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করলেও কোন দল জালে প্রবেশ করাতে পায়নি। খেলায় ফলাফল ২-১ গোলের ব্যবধানে নিয়ে মাঠ ত্যাগ করে মরিশ্যা ও মহালছড়ি জোন।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দুই দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোঃ আমান হাসান। এ সময় খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আবুল হাসনাত জুয়েল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।
খেলায় চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি ও ১ লক্ষ টাকা এবং রানার আপ দলকে ট্রফি ও ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবলার মনিকা চাকমা ও জাতীয় অনুর্ধ্ব-২০ দলের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ ভূঁইয়াকে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পক্ষ হতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকার অর্থ প্রদান করা হয়।
খেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, এই টুর্নামেন্ট পাহাড়ের সম্প্রীতি রক্ষায় যুব সমাজদের ক্রিয়া মুখি করবে। পাহাড়ের ছেলেদের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে বলেন। এখান থেকে একদিন তারা জাতীয় পর্যায়ে খেলবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন।
http://প্রায়ত রশু ও আমানতের স্মরণে বন্দর থানা কৃষকদলের দোয়া।