ঠাকুরগাঁও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাহের আবাসিক হোটেলে পকেটে চিরকুট লিখে আব্দর রশিদ (২৮) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে যানা যায়। মৃত আঃ রশিদ রুহিয়া থানাধীন ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেষপুর গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে।যানা যায় এক কন্যা সন্তানের জনক আব্দুর রশিদ। ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়াল পাড়া পৌর কমিশনার নজরুল ইসলামের পাশ্বে এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি এক সপ্তাহ আগে তার এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। গতকাল ২৬/১০/২০২৪ ইং দুপুরের পরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়ে জাহের আবাসিক হোটেলে আত্মহত্যা করে।
হোটেলের মেনেজার মোঃ জয়নাল আবেদীন কে জিগ্যেসা করিলে তিনি বলেন
আমি আমার ডিউটি পালন করাকালে বিকাল ৪.৩০ ঘটিকার সময় আব্দুর রশিদ ২০২ নং রুমটি বুকিং দিয়ে বাহির হতে চা নাস্তা খেয়ে এসে রুমে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বলেন যে আমি কয়েক দিন ঘুমাতে পারিনা আমি ঘুমাব কেউ আমাকে ডাকবন না বলে ঘুমানোর জন্য দরজা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক সারে দশটার দিকে আব্দুর রশিদের ৪ জন বন্ধু রশিদকে খুজতে আসে। আমি ওদেরকে বলি উনি ২০২ নং রুমে ঘুমাচ্ছেন। উনি নাকি কয়েকদিন ঘুমাতে পারেননি তাই ডাকতে নিষধ করেছেন। পরে আব্দুর রশিদের চার বন্ধু মিলে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজার সিটকিনি টা খুলে যায় পরে ঘরের ভিতর ঢুকতে আব্দুর রশিদ ফ্লোরে পরে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে চার বন্ধু মিলে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে কর্তব্য রত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ডাক্তার জানান সে অনেক আগেই মারা গেছেন।
এ বিষয় সদর থানায় অবগত করা হলে পুলিশ প্রশাসন আব্দুর রশিদের পকেটে একটি চিরকুট পায় সেখানে তার নাম ঠিকানা এবং এর বিচার যেন স্ত্রী সন্তান পায় এরকম কিছু লিখেছেন। পরে পুলিশ প্রশাসন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ময়না তদন্ত শেষে পরবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
আরো পড়ুন।
http://দীর্ঘ ২১ বছর পর আপন নিবাস ফিরে পেল মানসিক ভারসাম্যহীন সিরাজ।