জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বান্দরবান ট্রাফিক মোড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের মাধ্যমে আমাদের প্রথম ধাপের বিজয় হয়েছে। তবে পরিপূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে নিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, রাষ্ট্রের জন্য কি ভালো, কি মন্দ সেটি রাজনীতিবিদরাই ভাল জানেন। অন্তর্বর্তী কালীন সরকারকে সময় ক্ষেপন না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, গত ৫ই আগস্ট গনঅভ্যুত্থান শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য ইতিহাস নয়, ক্ষমতাসীন সকলের জন্য শিক্ষানীয় বিষয়। দেশের ক্লান্তিলগ্নে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতেন শহীদ জিয়াউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী বাঙালির ভাই ভাই সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠাও করেছিলেন তিনি।
এসময় অন্য বক্তারা বলেন, ১৬ বছর পর এসে বান্দরবানে বিএনপি স্বতস্ফুর্তভাবে কর্মসূচি করতে পারছে। ওই ১৬ বছরে স্বৈরাচার অবৈধ আওয়ামী লীগের সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধিরা অনবরত বাধা দিয়ে এসেছে। এর অংশ হিসেবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে হয়রানি করে আসছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বান্দরবানের আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা দুর্নীতি করে দৃশ্যমান সম্পদ গড়ে তোলে। এই দুর্নীতির বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার আহবান জানান বক্তারা।
বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: জাবেদ রেজা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্যফ্রন্টের আহব্বায়ক লুসাই মং, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বিএনপিনেতা সাহাদাত হোসেন জনি, রিটল বিশ্বাস, সেলিম রেজা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জামাল,সদস্য সচিব চনু মং মারমা,জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম,পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো:শফি,জেলা জাসাস আহ্বায়ক এডভোকেট আলমগীর হোসেন,সদস্য সচিব মো: ইউনুস,সাংগঠনিক সম্পাদক মো:বেলাল, জাসাস নেতা পারভেজ উদ্দিন, লামা মহিলা নেত্রী শারাবান তহুরা,আলীকদম মহিলা নেত্রী শিরিন আক্তার প্রমুখ।
এর আগে জেলার ৭টি উপজেলা, ৩৩ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা থেকে জেলা বিএনপি’সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয় স্থানীয় রাজারমাঠে। সেখান থেকে বিশাল র্যালি নিয়ে শহরের পধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে যোগদান করেন বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনের সমাবেশে ।
আরো পড়ুন।
http://বান্দরবান লামায় কৃষি বিভাগের বীজ সার বিতরণ