কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পাহাড় কে সন্ত্রাসী ও অপহরণ কারীচক্রের আয়নাঘর মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এই অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্যে বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে পাহাড়ি গ্রামের বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তাঁরা সবুজ পাহাড়কে অপহরণ থেকে রক্ষাসহ অপহরণের পর তিনজনকে হত্যা ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি মসজিদের ইমাম সহ নিরাপরাধ ব্যাক্তিদের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবি তুলেছেন।
শুক্রবার ২৫ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় টেকনাফ সদর হাবিবছড়া সড়কে সাধারণ নাগরিক সমাজের উদ্দ্যোগে মানববন্ধন পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ, ইউপি সদস্য মো. রশিদ মিয়া, শাহ্ আলম, মো. জহির আহমদ ও সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সাইফী, শিক্ষক হাবির ছড়া দারুল হেদায়ার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হাসান ও সুপার হাফেজ সাইফুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য রশিদ আলম, ইউপি সদস্য নজির আহমদ, মহিলা ইউপি সদস্য রানু আক্তার, মহিলা ইউপি সদস্য লাইলা আক্তার প্রমূখ
বক্তৃতায় সাইফুল ইসলাম সাইফী বলেন, ‘গত বছর মে মাসের শেষের দিকে কক্সবাজারের তিন যুববকে ভ্রমণের কথা বলে ডেকে এনে মুক্তিপনের দাবি টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সে সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এখানকার সাধারন মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে অপরাধীদের ধরে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়ে নজির সৃষ্টি করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরে এসে এসব সহতায়কারী লোকজনকে একই মামলায় অপরাধী করে। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষ কে মামলা থেকে বাদ দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘টেকনাফের পাহাড় কেন সন্ত্রাস মুক্ত হবেনা। পাহাড় কেন রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসীরা অপহরণ বাণিজ্যে করে ব্যবসা করবে? রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের জন্য পাহাড়ি এলাকায় হাজারো সাধারন মানুষ চলাচল করতে পারে না। কিন্তু পাহাড়ি ডাকাত-সন্ত্রাসীদের নিধন না করে, অপরহরণ বাণিজ্যে বন্ধ না হলে কিভাবে বন্ধ হবে অপহরণ। তাই আমরা বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানায় পাহাড়কে রক্ষ করুন। পাহাড় রক্ষা এখানকার সাধারন মানুষ রক্ষা পাবে। আমাদের বিশ্বাস সরকার আন্তরিক হলে এই অপহরণ বন্ধ হবেই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ বলেন, ‘তিনজনকে অপহরণের পর তিনজনকে হত্যার ঘটনায় সেসময় আমরা সকল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে এলাকার মেম্বারসহ সাধারন মানুষ সহতায় করেছি। কিন্তু সেময় ফ্যাসিবাদ সরকার আমাদের সাধারন মানুষকে মিথ্যা মামলায় আসামি করে। আমরা এসব নিরহ মানুষকে মুক্তি দেওয়া জন্য আমরা এখানে সবাই জড়ো হয়েছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি মেম্বার-মসজিদের ইমামসহ নিরাপরাধ সকল ব্যাক্তিদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’
এদিকে, গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফের রাজারছড়া এলাকার কোহিনূর নামের এক তরুণী নিহত তিন যুবককে কক্সবাজার থেকে নিজের বাড়িতে ডেকে আনেন। এরপর তিনজনকে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে গত ১০ মে টেকনাফের একটি পাহাড় থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন।
http://সিংড়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত।