কক্সবাজার টেকনাফে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম ইমন (২০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।
এই হত্যা মামলার সাথে জড়িত প্রাধান আসামি হেলাল উদ্দিন (৩৫) কে কক্সবাজার পাথর ঘোনা নামক স্থান থেকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত (২৩ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সকাল ৭ ঘটিকার সময় শামলাপুর আচারবনিয়া এলাকায় বসত ভিটার সীমানায় ঘেরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে হেলাল উদ্দিনের দেশীয় অস্ত্র (দা) এর কুপে আহত হয় নুরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম (ইমন)।গুরুতর আহত অবস্থায় ইমনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালে আইসিও তে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ তিন দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আজ সকাল ১০ ঘটিকার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত ইমনের মা চিকিৎসার শেষে বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় হেলাল উদ্দিন (৩৫) কে প্রধান আসামি করে মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্য চার জন আসামি আবছার উদ্দিন (৩০), হাসিনা বেগম (২৬), শেখ আহমদ (৬০), সবুরা খাতুন (২৮) পলাতক রয়েছে।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সমি উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইনচার্জ সমি উদ্দিনের নেতৃত্বে সাব ইনস্পেক্টর মোঃ ইসমাইল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ কক্সবাজার পাথের ঘোনা নামক স্থানে একটি অভিযান পরিচালনা করে। আসামি হেলাল উদ্দিন তার শশুর বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছে এমন সংবাদের পায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় কৌশলে আটক করা হয় হেলাল উদ্দিনকে।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সমি উদ্দিন জানান, আসামি তার হাতে থাকা দা দিয়ে ভিকটিম ইমনকে কোপ দেয় বলে স্বীকার করেছে এতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আইনী কার্যক্রম শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন।
http://টেকনাফের হ্নীলায় ১২ কার্ড ইয়াবা ও ১ কেজি স্বর্ন লুটপাটকারী বার্মাইয়া কামাল আবারো ফিরেছে।