টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ফাঁকাগুলি ছোড়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই কৃষককে অপহরণ করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর ) সকাল ১০ টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃতরা হলেন- হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মাবুদের ছেলে জাকির হোসেন (৪৫) ও একই এলাকার ভুলু মিয়ার ছেলে জহির (৫০)। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দলবেঁধে পাহাড়ে অপহৃতদের উদ্ধার করতে গেলে সেখানে স্থানীয় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে । গুলিবিদ্ধরা হলেন,হোয়াইক্যং ৯নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল (১৮), কায়সার উদ্দিন (২০) ও মোঃ সাকিব (১২)।
এ সময় একজন অপহরণকারীকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। আটক অপহরণকারী কম্বনিয়াপাড়া এলাকার এজাজার মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (২৭) ।
উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী কম্বনিয়া পাড়ার বাসিন্দা দিলু (৪০) মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ রফিক (২২) শুক্কুরের ছেলে শাহ্ আলম (৩০)মোঃ হোসেন প্রকাশ মনুমিয়ার ছেলে, রবি আলম (২৮) মৃত নাজির হোসেনের ছেলে জাহেদ হোসেন (৩২) কাচারপাড়ার এলাকার শুক্কুরের ছেলে মোঃ হোসেনরা (২৫) অপহরণের ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুদ্দীন আল মোবারক জানান,পুলিশের একার পক্ষে গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহরণ রোধ করা করা সম্ভব নয়। টিম গঠন করে যৌথবাহিনী অভিযান চালালে অপহরণ রোধ করা সম্ভব হবে , তাই অপহরণ রোধে যৌথবাহিনী গঠন করে পাহাড়ে অভিযান চালানোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে ।
এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির আইসিসহ পুলিশের একটি টিম পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে। এখন আমরাও ঘটনা স্থলে পৌঁছেছি। র্যাব ও পুলিশ ঐক্যবদ্ধভাবে অপহৃতদের উদ্ধারে কাজ করছি।
আরো পড়ুন।
http://বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার পর্যটন এলাকার বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতি সাথে মত বিনিময় করেন।