টেকনাফে বিভিন্ন স্টেশন ও ফুটপাতে
ওম ছড়াচ্ছে শীতের ভাপা পিঠা।
শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ (কক্সবাজার)
শীত মৌসূমের শুরুতে টেকনাফের বিভিন্ন স্টেশন ও ফুটপাতে ওম ছড়াচ্ছে ভাপা পিঠার পরসা। হেমন্তের ধান কাটা ও পৌষ না আসতে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এল ঘরে ঘরে ও নবান্নের উৎসব।এতে করে পিঠা পায়েসের ধুম পড়ে গেছে গ্রাম এলাকার ঘরে ঘরে।
তবে জেলায় জেলায় ও ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে বসছে শীত। আর সেই আমেজে সাড়া দিয়ে সন্ধ্যার পর ফুটপাতে ওম ছড়াচ্ছে ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা। কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ শহর সহ হ্নীলা ও প্রত্যন্ত এলাকার বাজারগুলোর ফুটপাতে বসেছে শীতকালীন পিঠার দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে বেশ রাত পর্যন্ত এসব দোকানে বাড়ছে লোকের আনাগোনা। চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, চালের জিলাপিসহ নানান পদের পিঠা বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের এ দোকানগুলোয়। তবে চিতই বা স্থানীয় ভাষায় দুম ও ভাপা পিঠা ও চালের জিলাপির ক্রেতাই বেশি।
শুধু হ্নীলারেই নয়, টেকনাফ উপজেলা সদর ইউনিয়ন, সাবরাং, বাহার ছড়া, হোয়াইক্যংসহ বিভিন্ন বাজারে শীতের আমেজ শুরু হতেই অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা।
হ্নীলা বাজারের এক পিঠা বিক্রেতা মোহাম্মদ হোছন জানান, প্রতিদিন ১০-১২ কেজি চালের গুঁড়োর পিঠা বিক্রি করেন তিনি। পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন তার বেশ উপার্জন হয়। পিঠার সঙ্গে গুড়-নারকেলের মিঠাই দেওয়া হয়। নারকেল-মিঠাই পিঠার সঙ্গে দশ টাকা করে নেওয়া হয়। প্রতিটি বাপা পিঠার জন্য নেওয়া হয় ১০ টাকা করে। মৌসুমের শুরুতেই প্রতিদিন এক-দেড় হাজার টাকা আয় হচ্ছে তার। পুরো শীতের মৌসুমে তার আয় ভালোই হবে বলে জানান মোহাম্মদ হোছন
শীত মৌসুমে প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর আয়োজন গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপাশির্ক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠাপুলি তৈরির আয়োজন কমে গেলেও থেমে নেই পিঠাপ্রীতি ও ভোজন। ঝামেলা এড়াতে বাড়ির আয়োজনের চেয়ে এখন দোকানের পিঠার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তারা। আর এ পিঠা বিক্রি করেই জীবিকা চালাচ্ছেন অনেকে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চুলার অল্প আঁচে ধোঁয়া উঠছে। তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু চিতই, চালের জিলাপি বাপা পিঠারসহ অন্যান্য পিঠা। আর চুলা থেকে নামানোর পর মুহূর্তেই তা চলে যাচ্ছে অপেক্ষমাণ ক্রেতার হাতে। ক্রেতারা রাস্তার পাশে দোকানে দাঁড়িয়ে অথবা বসে সেই পিঠা খাচ্ছেন। কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের জন্য।
হ্নীলা বাজারে চালের জিলাপি বিক্রেতা মোহাম্মদ নয়ন ও মোস্তফা বলেন, আগে প্যাডেলচালিত রিকশা চালাতাম। এখানে শীত কাল আসলে বাজার বাজার গিয়ে জিলাপি ও পিঠা বিক্রি করছি। প্রতিদিন ২৫০-৩০০ পিস পিঠা ও ৫০/ ৬০ কেজি জিলাপি বিক্রি হয়। সব খরচ বাদে প্রতিদিন গড়ে ৭শ টাকা লাভ হয়। এতেই সংসার চলে।
আরো পড়ুন।
http://তরুণদের ছোখে কেন আসেনা বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে।