টেকনাফের বিশাল কর্মী সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শাহ জাহান চৌধুরী বলেছেন দেশ দখল দারদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টায় রঙ্গীখালী ঈদগাহ ময়দানে
হ্নীলা দক্ষিণ বিএনপি'র সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল সিদ্দিকী ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুহুর আলমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
বলেছেন গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপি নেতা কর্মীদের মামলা হামলাও গায়েবী মামলা দিয়ে ব্যাপক হয়রানী করেছেন,বাড়ীতে পুরুষ লোক নাপেয়ে অন্তসত্বা মহিলাদের ধরে নিয়ে নানা নির্যাতনের পর জেল হাজতে পাঠিয়েছেন এমন কি শিশুরা পর্যন্ত এই নিড়যাতন থেকে রেহায় পায়নি। এসময় তিনি আরো বলেছেন আমাদের অতীতে করা উন্নয়নের উপর ভরকরে আওয়মী বাকশালী সরকার উন্নয়নের বরাদ্ধ পকেটস্থ করে টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় মাদক নির্মূলের নামে নিরীহ শত শত মানুষ কে রাষ্ট্রীয় ভাবে খুন করেছেন,ওসি প্রদীপ কে দিয়ে শত শত নারীদের করেছে গণধর্ষণ।
এসময় রঙ্গীখালী এলাকার নির্যাতিত বিএনপির জন্য শহীদ পরিবারের সন্তান যুবদল নেতা শাহ আলমের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শাহ জাহান চৌধুরী বলেছেন আওয়ামীলীগের দুসররা দীর্ঘ বছর পূর্বে যুবদল নেতা শাহজালাল ও ছৈয়দুল আমীন কে এএলাকায় হত্যা করে ছিল এবং তাদের পরিবারের সদস্য বিভিন্ন মিথ্যামামলায় জড়িয়ে হয়রানী করে আসছিল এসবের বিচার বাংলার মাটিতে একদিন হবেই হবে ইনশা আল্লাহ।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে বাধ্য হয়ে ফ্যাসিস্ট সৈরাচারী আওয়মী সরকারের ডাইনী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার দেশ ছেড়ে পালালে দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে শুকুরিয়ার মস্তক অবনত করে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে মহান আল্লাহর কাছে জালিমের জুলুম থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে শুক্রিয়া আদায় করেছেন, এই সরকার দীর্ঘ ১৭ টি বছর মানুষ কে শূধু জুলুমই করেছে ভাগ্যন্নোয়নের জন্য কোন কিছু করেনি, কল কারখানা শুন্য এই উখিয়া টেকনাফে একদিকে ইয়াবার অজুহাতে নাফনদী বন্ধ অন্যদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখে এলাকায় চুরি ডাকাতি,সন্ত্রাসী ও অপহরণ বাণিজ্য জিঁয়ে রেখেছেন।
আমাদের কাজ হচ্ছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন এই সরকার কে দেশ সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করে একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে তবে আমাদের আন্দোলন স্বার্থক হবে। তাই সবাইকে এক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি হাশেম আহমদ সিআইপি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক এডঃ সেলিমুল মোস্তফা, এএইচ এম ওসমান গণী। যুগ্ম সম্পাদক জামাল ছাদেক, টেকনাফ উপজেলা যুবদলের আহব্বান মোহাম্মদ কাইয়ুম, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জলাল উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহেদুর রহমান,
জেলা যুবদলের সদস্য মোক্তার আহাম্মদ, মানবাধিকার সম্পাদক নাছির উদ্দীন রাজ, যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক নুরুল হুদা, প্রবাসী মক্কা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইন মিল্কী, হ্নীলা উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী আহম্মদ, আবছার কামাল নোবেল, সেন্টমার্টিন বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম, দঃ বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি হেলাল উদ্দীন,সহ সভাপতি আবুল আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন, শ্রমিক দলের সভাপতি হোছন আমিন, হ্নীলা দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক সেলিম সর্দার, সদস্য সচিব মোঃ সেলিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহব্বায়ক শামীম চাকলা দার, রংগীখালী মাদ্রাসা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন সৌরভ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সাগর, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ আব্দুল্লাহ মনির, সাংগঠনিক ৩, ৪,৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক কালু সদাগর, আবুল মঞ্জুর, বশির আহাম্মদ, মোঃ ফেরদৌস, নুরুল আমিন, নুরু সদাগর সহ যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
আরো পড়ুন।