টেকনাফ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে কি গোপালী লোকের চাকরি বেশী এই প্রশ্ন এখন টেকনাফবাসী সকলের।
গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকে টেকনাফ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন সকল এলাকায় ভয়াবহ বিদ্যুত লোডশেডিং মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে যা টেকনাফের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা বলে আখ্যাদিয়েছে সচেতন মহল।
এতে করে এলাকায় এলাকায় বলতে শুরু করেছে টেকনাফ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে মনে হয় গোপালগঞ্জের লোকের চাকরি বেশী। তা নাহলে এতদিন এইভাবে বিদ্যুৎ লোডশেডিং ছিলনা,নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারাহ ছিল ৫ আগষ্টের পর থেকে কি কারণে এমন হচ্ছে।
তা খতিয়ে দেখার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দান কারী ছাত্রদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়েও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে টেকনাফ
পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন এলাকা শাহপরীরদ্বীপ, সাব্রাং, টেকনাফ সদর,পৌর সভা,বাহার ছড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকার একই অবসৃথা বলে জানা গেছে।
রাত এবং দিনে মিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ ঘন্টা ও বিদ্যুত থাকেনা। একই অবস্থা পাশ্ববর্তী উপজেলা উখিয়ার ও।
ঘন ঘন বিদ্যুত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুত গ্রাহকদের বাড়ির বিদ্যুৎচালিত,ফ্রিজ,টিভি, রাইচক্রোকার,প্রেসার ক্রোকার,বৈদ্যুতিক ফ্যান ও অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটম বিদ্যুতের ধাক্কায় অকেজু হয়ে পড়ছে,এবং সার্ভিস মিটারে বিদ্যুতের গ্রীড রেইট বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি একবার বিদ্যুৎ এলে একটা মোবাইলে ২০% চার্জ হতে না হতে বিদ্যুৎ চলে যায় এই ভাবে গত ৫ আগষ্ট থেকে কোন দিন মোবাইলে কেউ ১০০% চার্জ দিতে পারে নাই বলে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। আগে ছিলনা এখন কেন এমন হল---- কেন? কেন? কেন?.
এই অবস্থা চলতে থাকলে এলাকাবাসীর মাঝে বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকারের ভাব মর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে বিশ্লেষক মহল মনে করছে। এই রকম অবান্তর লোডশেডিংয়ের করার সাথে কে বা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে টেকনাফ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মোঃ আবুল কালাম আজাদের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দেশে অলরেডি ৪৭ টার মত বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে,তাছাড়া আন্তর্জাতিক গ্রীড হতে আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কম দেয়া হচ্ছে তাই আমরাও আমাদের গ্রাহকদের বিদ্যুত সরবরাহ কম দিতে পারায় আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি আশা করছি আগামী একমাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন।