টেকনাফ সীমান্তে বাড়ছে অনুপ্রবেশ, ক্যাম্পগুলোতে বাড়ছে নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের জনজীবনে

টেকনাফ সীমান্তে বাড়ছে অনুপ্রবেশ, ক্যাম্পগুলোতে বাড়ছে নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের জনজীবনে

টেকনাফ সীমান্তে বাড়ছে অনুপ্রবেশ, ক্যাম্পগুলোতে বাড়ছে নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের জনজীবনে

শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ  কক্সবাজার প্রতিনিধি।

কক্সবাজারের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হুহু করে বাড়ছে রোহিঙ্গার সংখ্যা,তার মাঝে আবার অনুপ্রবেশের সুযোগ পাওয়াতে ক্যাম্পগুলোতে নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা ও বাড়ছে পাল্লাদিয়ে। কক্সবাজারের সীমান্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সংখ্যা রয়েছে ১৭ টির মত।
২০১৭ সালে বল প্রয়োগে বাস্তচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছিল প্রায়ই ১০ লক্ষ্যাধিক, ২০১৭ সাল হতে এপর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে প্রায়ই ৭ বছরের মধ্যে নবপ্রজন্মের সংখ্যা বাড়ছে ২ লক্ষাধিক জন,যা কক্সবাজার জেলার স্থানীয় অধিবাসীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশী।

মিয়ানমারে চলমান আভ্যন্তরীন সংঘাত ও বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন কে কেন্দ্র করে  প্রশাসনের মাঝে কিছুটা দূর্বিসন্ধিমুলক আচরনের সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা যেমন নাইক্ষংছড়ি,তুম্ব্রু,বালুখালী হোয়াইক্যং ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে সীমান্ত প্রশাসনের চোখ ফাঁকিদিয়ে প্রতিদিন দিন বা রাতের কোন না কোন সময় শতশত রোহিঙ্গা পরিবারের অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানাগেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের এই কয়দিনে সীমান্ত এলাকাগুলো দিয়ে প্রায়ই ৫০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে।রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে তাদের পূর্ব পরিচিত এদেশে ২০১৭ সাল বা তারও অধিক কাল আগে থেকে এদেশে ক্যাম্পে বা লোকালয়ে অবস্থান করছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট কিছু দালাল চক্রের হাতধরে ক্যাম্পে বা দেশের নানা প্রান্তে চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা।

অনুপ্রবেশের সময় বাংলাদেশের সীমান্ত প্রশাসন বিজিবির হাতে ধরাপড়লে তারা পুইশব্যাক করেদিলে সুচতুর রোহিঙ্গারা অন্য প্রান্ত থেকে গিয়ে নাফনদীর কয়েকটি দ্বীপ লাল দ্বীপ,চেয়ারম্যানদ্বীপ,চেরা দ্বীপ, পেঁচার দ্বীপে ও জলিয়ার দ্বীপে অবস্থান করে তাদের নির্দিষ্ট দালালদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে নৌকাযোগে কৌশলে ফেরত এসে ক্যাম্প গুলোতে অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এমতাবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রভাবের কাছে আমাদের বাঙ্গালীদের মাথানত করতে হবে। সম্প্রতি টেকনাফ ও কুতুপালংয়ের দুই একটা ক্যাম্পের সৃষ্ট ঘটনাই তার প্রমাণ বহন করে। এমনিতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক সকল অপকর্ম অপহরণ, খুন,ছিনতাই, ডাকাতি সন্ত্রাসী,মাদকপাচার সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড  স্থানীয়  সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রার মান কে বিষিয়ে তুলেছেন।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তড়িৎগতিতে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চালু করা না হলে বাংলাদেশের নাইক্ষংছড়ি থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকার মানুষ গুলোকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে বলে বোদ্ধামহলের ধারণা।

আরো পড়ুন।

 

http://সদরঘাট থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *