দোকান দখলের প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।

দোকান দখলের প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।

দোকান দখলের প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।

মোঃ আবুল বাসার সাইফুল ক্রাইম রিপোর্টার।

রংপুরের মিঠাপুকুরে স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র সম্বল একটি হার্ডওয়্যারের দোকান এবং তিনটি গোডাউন ঘর দাদন ব্যবসায়ী কর্তৃক জোরপূর্বক দখল করে মালামাল লুট করার অভিযোগে ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিধবা নারী এবং তার দুই এতিম শিশু সহ বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি।

বুধবার (৬-নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময় মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে দুই অবুঝ শিশু তাদের মৃত বাবার একমাত্র সম্বল বাঁচাতে সাংবাদিক সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আকুল আবেদন জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নাজনীন নাহার জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ৫ নং বালারহাট ইউনিয়নের বালারহাট মসজিদ মার্কেটে তার স্বামী রুবেল মিয়া (৩৭) হার্ডওয়্যারের দোকান করতেন। প্রায় এক বছর পূর্বে তার স্বামী হঠাৎ হার্টঅ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেন। রুবেলের মৃত্যুর পর স্ত্রী নাজনীন নাহার (৩০) তার দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বিধবা শ্বাশুড়ির সঙ্গে বসবাস করেন। জীবিকার তাগিদে তিনি তার স্বামীর রেখে যাওয়া হার্ডওয়্যারের দোকানে একজন কর্মচারী রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে ওই এলাকার চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী জয়দুল হোসেন,সাজ্জাদুল,হোসেন,বাতেন,খাজানুর, সেকেন্দার মেম্বার, ফারুক হোসেন মৃত-রুবেলের কাছে ১০ লক্ষ টাকা পাবে বলে দাবি করে আসছে।

এরই জের ধঁরে বুধবার সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ভুক্তভোগী নাজনীন নাহার লোক মারফতে জানতে পারেন,অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ীরা তার স্বামীর হার্ডওয়্যারের দোকানে তালা ভেঙে নতুন করে তালা লাগিয়েছে এবং গোডাউন দখল করে প্রায় ২০/৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছে। সংবাদ পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন দিলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু লুটপাট হওয়া কোনো মালামাল উদ্ধার কিংবা দাদান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকান উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী জানান, আমার দোকান আর গোডাউন রক্ষার্থে আমি মিঠাপুকুর থানা পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম। পুলিশ আমাকে অসহায় পেয়ে আমাকে আইনি সহযোগিতা না করে অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে মিমাংসার পরামর্শ দিয়েছেন। এসময় তিনি তার এতিম দুই শিশুকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁন্না করে বলেন, আমাদের বাঁচান। আমাদের এই দোকানটি বেঁচে থাকার সম্বল। দোকান আর মালামাল ফেরত না পেলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে মৃত রুবেলের মা বলেন,সেই সময়ে এই দাদন ব্যবসায়ীরা আমার ছেলেকে টাকার জন্য অমানুষিক চাপ দিয়ে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছে। তারা কয়েকদিন পূর্বে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক আমাদের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা কেউ টাকা পাবে এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন রুবেলের দুই এতিম শিশু।

অভিযুক্তরা এ বিষয়ে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। তবে মিঠাপুকুর থানার (ওসি-তদন্ত) মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। ওই নারী থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

আরো পড়ুন।

 

 

http://ভাঙা ঘরে উঁকি মেরেছে চান্দের আলো।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *