কক্সবাজারের টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়ন কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে ১ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই অভিযানে কোন মাদক কারবারি বা পাচার কারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২বিজিবি)'র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহাম্মদ এক সংবাদ বিঙপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ পূর্ব দিকে মিজজীর জোড়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ বিওপি’র চোরাচালান প্রতিরোধ নৌ টহলদল গভীর রাতে দুইজন ব্যক্তিকে নাফ নদীতে সাঁতরিয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের জলসীমায় আসতে দেখে। উক্ত সময় টহলদল বর্ণিত ব্যক্তিদের দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে উক্ত ব্যক্তিরা তাদের নিকটে থাকা কয়েকটি পোটলা নদীতে ভাসিয়ে দ্রুত সাঁতরিয়ে পূণরায় মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে নদীতে ভাসমান অবস্থায় চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো বলেন,
টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় রাত শেষ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরো পড়ুন।
http://টেকনাফ হ্নীলা মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উপর দূর্বৃত্ত দলের হামলা।