ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভাও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ২৮ অক্টোবর (সোমবার) বাদে আছর হ্নীলা শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মিলনায়তনে জামায়তের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার বিএস সি শিক্ষক মাস্টার ফরিদুল আলমের পরিচালনায় মাওঃ নাসির উদ্দীনের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে উক্ত আলোচনা শুরু হয়।
হ্নীলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওঃ গিয়াসউদ্দিন নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা ওলামা মশায়েখের সভাপতি মাওঃ আব্দুস সোবহান।
উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন হ্নীলা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাওঃ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মাহমুদ,বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাওঃ আবু বকর ছিদ্দিক, মাওঃ আবুল কালাম আজাদ,ইউনিয়ন বায়তুলমাল সম্পাদক মাওঃ আব্দুল মজিদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ জামাল হোছাইন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেছেন গত ২০০৬ সালের এই দিনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতা কর্মীরা লগি বৈঠাদিয়ে পল্টন ময়দানে নিরীহ নিরস্ত্র তৌহিদী জনতা তথা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মীও দায়িত্বশীলদের উপর পৈশাচিক কায়দায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে লাশের উপর নৃত্য করেছিল। তাছাড়া দীর্ঘ ১৭ টি বছর ইসলামী আন্দোলনের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল,গুম,খুন অপহরণ, ও আয়না ঘরে বন্দি রেখে অসহনীয় জুলুম নির্যাতন করে জামায়তে ইসলাম কে নেতৃত্ব শুন্য করার পাঁয়তারা করেছিল।
একই কায়দায় ২০২৪ সালে ক্ষমতা কে কুক্ষিগত করার জন্য ছাত্র জনতার মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছিল।এথেকে শুরু হল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। তারা একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার কে পালাতে বাদ্য করেছিল।আসল নতুন সরকার। এই সরকারের সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আগামীতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হলে আগামীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুন।
http://শাহরাস্তিতে যুবদল নেতা জুবায়েরের উদ্যোগে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।