বন্দরে শিক্ষকদের গালমন্দ ঘটনায় প্রতিবাদ করার জের ধরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলের বসত বাড়িতে হামলা আহত-৩
মোঃ আবুল বাসার সাইফুল
স্টাফ রিপোটার
লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গালমন্দ করার ঘটনার প্রতিবাদ করার জের ধরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে প্রবাস ফেরৎ পিটু বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে ১৮ লাখ টাকা মালামাল লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। ওই সময় হামলাকারীদের বাধা প্রদান করতে গিয়ে বৃদ্ধা মহিলাসহ একই পরিবারের ৩ জন মারাত্মক ভাবে জখম হয়। আহতরা হলো সেলিনা বেগম (৮২) সোহেল (৪৭) ও প্রবাস ফেরৎ পিটু (৪৫)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় আহত প্রবাস ফেরৎ পিটু বাদী হয়ে গত ১৪ আগস্ট রাতে সন্ত্রাসী নব্য বিএনপি কর্মী সজীব ও সাহেদসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এর আগে গত ৬ আগস্ট দুপুর ১২টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দীস্থ নয়ানগর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কল্যান্দীস্থ পিয়ার লতিফ সত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম পিয়ার জাহানের ছেলে প্রবাস ফেরৎ পিটু সাথে একই এলাকার রমজান মিয়ার ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও নব্য বিএনপি কর্মী সজিব ও একই এলাকার মনির হোসেন মিয়ার ছেলে সাহেদ গংদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের কারনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ওই সুযোগে স্থানীয় সন্ত্রাসী সজীব তার পিতা রমজান একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে শাহেদ, মোশারফ মিয়ার ছেলে রতনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন সন্ত্রাসী ধারালো দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাস ফেরত পিটুর বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার সহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ওই সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে মা ছেলেসহ তিনজন আহত হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, পল্টিবাজ রমজান মিয়া ও তার ছেলে সজিব আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের সাথে সখ্যতা তৈরি করে সরকারি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে। এ ছাড়াও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজারসহ একের পর এক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরই রাতা রাতি জার্সি বদল করে নব্য বিএনপি কর্মী পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী ককান্ড ঘটিয়ে কল্যান্দী ও নয়ানগর এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে আসছে।
এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, নবাগত পুলিশ সুপারসহ বন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
আরো পড়ুন।
http://হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের সমাবেশ অনুষ্টিত।