বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলীমাবাদ ইউনিয়নে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও জোরপূর্বক ৮একর জমির মাছের ঘের দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। গতকাল সকাল ১১টায় আলীমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের মোস্তফা কামাল খান এর বিরদ্ধে জোরপূর্বক মাছের ঘের দখল ও আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আলীমাবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ জামাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন,
আমাদের কবুলত ও রেকর্ডিও জমিকে খাস জমি দাবী করে মোস্তফা কামাল খান নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজে ভোগদখলের চেষ্টা চালায়, আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি একেক সময় একেক রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজসরল মানুষদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালায়, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলীয় স্থানীয় চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় জোড়পুর্বক ঘেরটি ভোগদখল করেছিলেন। এই ঘেরটি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ঘেরটি জনৈক আল্লামা শামসের আলীর কাছে স্টাম্পে লিখিত চুক্তিবদ্ধভাবে লিজ দিয়েছিলেন। লিজের মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালে। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোস্তফা কামাল খান ক্ষমতার দাপটে জোড়পুর্বক ভোগদখল করেন। ২০১৯ সালে আমরা তার কব্জা থেকে ঘেরটি উদ্ধার করি। ৫ই আগষ্টের পরে তিনি এখন নিজেকে বিএনপি নেতা দাবী করে ঘেরটি পুনরায় দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এহেন অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি করছি। তিনি একদিকে অর্থবৃত্তের মালিক আরেকদিকে প্রভাবশালী হওয়ায় তার কাছে আমরা ভাই ভাই মৎস্যচাষ প্রকল্পের চাষী এবং মালিকগন জিম্মি হয়ে পড়েছি।
ঘেরের অংশিদারীরা বলেন, ১৯৯৭ সালে ঘেরের জায়গায় একটি খাল ছিলো, জনৈক আল্লামা সামসের আলী সাহেব প্রজেক্ট করার জন্য আমাদের কাছ থেকে ১০ বছরের জন্য লিজ নেয়, তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরা তা ফিরে পাই। কিছু দিন পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই আল্লামা সামসের ব্যাগ বহনকারী মোস্তফা আওয়ামী লীগ নেতা দাবী করে ঘেরটি জোড়পুর্বক ভোগ দখল করেছিলেন, পরবর্তীতে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি, তিনি আইনের তোয়াক্কা না করেই ঘেরটি দখলের চেষ্টা করছে।
মালিকানা স্বত্ব থাকা সত্ত্বেও আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা তথ্য উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রচার করিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও উপদেষ্টা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সুবিচার ও দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল খান জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই ঘেরে কিছু অংশ আমি ক্রয় সুত্রে মালিক, আর অবশিষ্ট বেশ কিছু জমি সরকারি খাস, এই জমি ভোলা-মেহেন্দিগঞ্জ সীমান্তবর্তী হওয়ায় দুই উপজেলার মধ্যে বিরোধ ছিলো, উভয় উপজেলা এই জমি দাবীদার ছিলো, পরবর্তীতে মেহেন্দিগঞ্জের হয়ে আমিও আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছিলাম, কারোরই ঘের আমি দখল করি নাই।
আরো পড়ুন।