বাঁশখালী গন্ডামারায় এসএস পাওয়ার প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন।
মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি।
“চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপ, চীন ও কুরিয়ার যৌথ ভাবে প্রতিষ্ঠিত এসএস পাওয়ার প্রকল্পের নির্মাণকালীন গন্ডামারা এলাকায় ক্ষতির প্রতিবাদে এবং ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন।” তারা বলেন,
“আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শতভাগ বিদ্যুতায়ন চাই। এছাড়া, স্থানীয় যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই বঞ্চনার শিকার হচ্ছি।” “পরিবেশ সংরক্ষণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ড্রেনেজ সমস্যার সমাধানসহ আমাদের ৬ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
তারা আরো বলেন,
“এসএস পাওয়ার প্রকল্পের কারণে স্থানীয় কৃষিজমি, সড়ক, এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাসান নূর ও ছরওয়ার তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
“আমাদের উর্বর কৃষিজমি নষ্ট হয়ে গেছে। এটি পুনরুদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”
“যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দ্রুত সড়ক সংস্কার করা হোক।”
গন্ডামারার জলাবদ্ধতা ও দূষিত পরিবেশ সম্পর্কে বলেন,
“আমাদের পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। প্রকল্পের প্রভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।”
“জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব আমরা সরাসরি টের পাচ্ছি। প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে।
“জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করা না হলে এ অবস্থা আরও খারাপ হবে।”
“বক্তারা স্থানীয় অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তারা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন।”
“‘ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতা ৯নং গন্ডামারা ইউনিয়ন’-এর এই মানববন্ধনে স্থানীয় জনজীবনের সমস্যাগুলো আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেন।
আরো পড়ুন।
http://গৌরীপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি’র গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত।
