ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার পতনের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশের মানুষ। বিশেষ করে দীর্ঘ বছর স্বৈরশাসক হাসিনার শাসনামলে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার বিএনপি -জামায়াত ইসলামীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা।
দেশের সর্বস্তরের মানুষ আশান্বিত হয়েছিল যে,এদেশে মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক মিথ্যা মামলার গ্লানি আর কাউকে টানতে হবে না।
কিন্তু সাধারণ মানুষের সেই আশা এখন মিথ্যা আশ্বাসে পরিণত হতে চলেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কৌশলে আওয়ামী সৈরাচারীর দোসর ও দালালরা নিজেদের অতীতের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রশাসনের এখনো ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী প্রেমী পুলিশ কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করছেন টেকনাফের বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাড়ে ৯
টারদিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড রঙ্গিখালী বিএনপি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন তারা।
হ্নীলা ইউনিয়ন বিএনপির (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল ছিদ্দিকী বলেন,গত ১৬ অক্টোবর উপজেলার বাহারছড়া থেকে চাচার পরিকল্পনায় বেলাল উদ্দিন নামে একজন যুবক অপহরণ করেন একটি দুর্বৃত্ত চক্র। সে মামলায় মূল পরিকল্পনাকারী অপহৃতের চাচাসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু সেই অপহরণ মামলায় হ্নীলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম ও আবছারকে কেন পলাতক আসামি করা হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এমন মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
উক্ত মামলায় কারসাজি করে আওয়ামী দোসরদের ইশারায় স্বৈরাচারী কায়দায় রঙ্গিখালী এলাকার শহীদ পরিবার খ্যাত বিএনপির জন্য ত্যাগী পরিবারের সদস্য যুবদল নেতা শাহ আলম ও আবছার কে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন ( দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল ছিদ্দিকীসহ উপস্থিত বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
টেকনাফ উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি হোসাইন আহমদ আনিম বলেন,
আওমীলীগের শাসনামলে ও শাহ আলমের পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা ও তার দুই ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে । এখনো আওয়ামী দোসরদের ফ্যাসিবাদী কান্ড চলছে।
অনতিবিলম্বে যুবদল নেতা শাহ আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি । মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও হুশিয়ারি দেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দস্তগীর হোসেন বলেন, জড়িত না থাকলে তদন্তপূর্বক বাদ দেয়া হবে ।