বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সাবেক পরিচালক রেজাউল করিমের নামে আদালতে মামলা করেছেন দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকার বেনাপোল প্রতিনিধি সুমন হোসাইন ( ৩৬)। মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজিবী মোঃ রুহিন বালুজ জানান,বিজ্ঞ আদালতের বিচারক বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য সি আইডি কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ( ১০ সেপ্টেম্বর ) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেনাপোল পোর্টথানা আমলী আদালতে প্রাননাশের হুমকি ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে মামলার আর্জি দাখিল করেন বাদী সুমন হোসেন।
মামলার আবেদনে সুমন হোসাইন বলেন ১নং আসামী রেজাউল করিম ও ২ নং আসামী জিল্লুর রহমান গত ২৩ আগস্ট ২০২৪ বেনপোলস্থ স্থল বন্দরের রেস্ট হাউসের মধ্যে সরাসরি কথা বলার জন্য ডেকে নেন। এর আগে বেনাপোল স্থলবন্দর উন্নয়নে ভ্যাহিকেল টার্মিনাল এর চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি হচ্ছে বলে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে অবগত করে প্রতিকার বা নিউজের জন্য তার বিবৃতি প্রত্যাশা করেন। এমনকি চলমান প্রকল্পের কাজের অনিয়মের মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও চাহিদা মোতাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের হোয়াটঅ্যাপে প্রেরণ করেন।
জিল্লুর রহমানের বলা মতে সাংবাদিক সুমন রেস্ট হাউসে স্বশরীরে দেখা করতে গেলে ১নং ও ২নং আসামী তাকে থ্রেট পূর্বক নিউজ করতে নিষেধ করেন। বাদী আসামীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিউজ করতে চাইলে রেজাউল করিম সাংবাদিক সুমনের নামে থানায় মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়।
এসময় ২নং আসামী জিল্লুর রহমান সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামানের জামাতা ভাড়াটে খুনী দিয়ে সুমনকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকী দেই। এতে সাংবাদিক সুমন হতভম্ভ হয়ে মামলা না দেওয়ার অনুরোধ করলে রেজাউল করিম সুমনের কাছে মামলা না দেওযার শর্তে ১০লাখ টাকা দাবী করেন।
অভিযোগ বিষয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরের সাবেক পরিচালক রেজাউল করিমের নিকট জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন,এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের নিকট থেকে বক্তব্য নিন। সুমনের সহিত রেস্ট হাউসে তাদের সাক্ষাৎ এর সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি আরো জানান,চেয়ারম্যান মহোদয়ের উপস্থিতিতে সেখানে আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউলের দূর্নীতি বিষয়ে সনামধন্য টিভি চ্যানেল দেশ টিভি ও নয়া দিগন্তসহ একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আরো পড়ুন।