সম্প্রতি দেশে সরকার পরিবর্তনে ফলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমে ধীরগতিও অভিযান পরিচালনা বন্ধ থাকায় নাফনদীতে বিভিন্ন দ্বীপে অবস্থান রত সন্ত্রাসী বাহিনী আরসা ও নবীহোছন বাহিনীর সকল অবৈধ অস্ত্র রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিভিন্ন পাহাড়ী জনপদ ও লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।
সম্প্রতি মিয়ানমারে সামরিক জান্তাও বিরোধী শিবিরের সন্ত্রাসী আরসা ও মগবাগীদের সাথে ভয়াবহ যুদ্ধ ও বোম্পিংয়ের কারণে নাফনদীতে বিভিন্ন দ্বীপে আস্তানা গেঁড়ে অবস্থান করা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা, আরএসও ও নবীহোছন বাহিনীর সকল ভারী অস্ত্রগুলো বাংলাদেশের রাখাইন পল্লীগুলো দিয়ে এপারে ঢুকে পড়েছে বলে একাধিক নির্ভযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।
রাতের অন্ধকারে রাখাইন পল্লীর কিছু রাখাইন সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে মগবাগীও সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো তাদের সকল ভারী অস্ত্র টাকার বিনিময়ে এপারে সাপ্লাই দিয়ে আসছে। এমনকি সময় সূযোগ বুঝে এদেশের কিছু প্রভাবশালী লোকজন টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে এনে রোহিঙ্গা এসমস্ত সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ফরেস্ট রেঞ্জের মালিকানাধীন কালো পাহাড়ের পাদদেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি আস্তানা গেঁড়ে সন্ত্রাসী, খুন,রাহাজানি,অপহরণ, মাদক ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছে।তাছাড়া ঐসব আস্তানায় অস্ত্রতৈরীর কারিগরদের মাধ্যমে অস্ত্র তৈরী ও অস্ত্রের প্রশিক্ষণ ও দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এগুলোকে পুঁজিকরে বাংলাদেশের লোকালয় ওপাহাড় অধ্যুষিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিবাদমান গ্রুপে গ্রুপে আধিপত্য ধরে রাখতে নিয়মিত অস্ত্রের মহড়া চলছে বলে এলাকাবাসী সুত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকায় দুই ডাকাত গ্রুপের মাঝে ব্যাপক গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এঘটনায় প্রতিপক্ষ ডাকাত দলের একজন প্রভাবশালী ডাকাত আহত হয়েছে।
খোঁজ নিয়েও তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে সম্প্রতি নয়াপাড়া মোচনী রেজিস্ট্রার্ট ক্যাম্প,জাদীমুরা,শালবাগান,লেদা পুরাতন রোহিঙ্গা ক্যাম্প,আলীখালী, উলুচামরী কোনারপাড়া,
রঙ্গীখালী ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজারও পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার বিবাদমান গ্রুপ গুলো নিজেদের অপকর্ম আড়ালও আধিপত্য বিস্তার করতে অস্ত্রের যে নিয়মিত মহড়া প্রদর্শন করেছেন তা থেকে প্রমানীত হয় যে,মিয়ানমারের আরসা বাহিনী ও নবীহোছন বাহিনীর সকল অবৈধ অস্ত্র এখন এপারের লোকালয়ের গ্রাম গ্রামে।
সম্প্রতি নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকাথেকে দুই দফা লোকাল লোকদের ডাকাতিও অপহরণ পূর্বক মুক্তিপণ দাবীর ঘটনা কে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রামবাসী ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় স্থানীয় বেশ কিছু লোক আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।
তাছাড়া,গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের রাত নাফনদীতে অবস্থান রত আরসা বাহিনীর সদস্যও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে নিয়ে এসে উলুচামরী কোনার পাড়া এলাকার একদল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিল ঠেকাতে হ্নীলা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিল।
এখনো ঐসব সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো নিয়মিত সন্ধ্যা পার হলেই অস্ত্ররের মহড়া দিয়ে যাচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীসূত্রে প্রকাশ।
গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় হ্নীলা উলুচামরী কোনার পাড়া এলাকায় চৌধুরী পাড়া রাখাইন পল্লীথেকে মগবাগীদের কিছু ভারী অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার পথে অস্ত্র টেস্টিং করতে গিয়ে জৈনক জালাল নামের একব্যক্তির হাতের কনুই পর্ষন্ত উড়েগেছেবলে খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও সম্প্রতি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নংওয়ার্ডে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে মাদক ব্যাবসায়ী ও অস্ত্রবাজরা র্যাব সদস্যদের উপর হামলা করতেও দ্বিধা করেনি।
এসমস্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে হলে উপকুলীয় বাহারছড়া ও উখিয়া ও টেকনাফের ঝুঁকি পূর্ণ সকল এলাকার দুই পাশ থেকে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে যৌথবাহিনি কে।
তা নাহলে এলাকাওয়ারী এসব অস্ত্রবাজ অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো কে কারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে এগুলো হতিয়ে দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে যৌথবাহিনীর অভিযান দরকার বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবী উঠেছে।
আরো পড়ুন।
http://দুই মানব প্রচারকারী শাকিল ও চান্দু বেপারীর ফান্দে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার