সরকার পতনের পর সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়সহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন গুলোর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সখিপুর থানার পৌরএলাকায় সারাদেশের ন্যায় বৈষম্য বিরোধী
ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী স্থানীয় আওয়ামী লীগের হামলায় গুরুতর জখম ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে ১৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়,সোমবার রাতে সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার,সাবেক পৌর মেয়র আবু হানিফ আজাদ, কেবিএম রুহুল আমিন, কাজী বাদল,আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সুলতান শরীফ পান্না, শিবলী সাদিকসহ অজ্ঞাত ১৫০জনের নামে মামলা দায়ের করে। গত ৩ আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে উপজেলার সৌখিন মোড় হতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একটি মিছিল উপজেলা গেইট এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে আসামি গণের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আ.লীগের নেতারা অস্ত্রসহ ধাওয়া করে। পরে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা আশিকের হাতে শর্টগানের আঘাতে আন্দোলনকারী খোরশেদ গুরুত্বর জখম হয়। অপর আসামি ডিএম সুপ্ত,স্বাধীনের হাতে লোহার পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী সায়মার মাথায় আঘাত চেষ্টা করলে তার পিঠে লাগে। এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নদী ও সেলিম আল মামুনকে আ.লীগের নেতারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোমরে সজোরে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বেদম প্রহার করা হয়।মামলার বাদী পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুর্শেদুল ইসলাম অন্তর জানান,সকলের সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মামলা বিলম্ব হয়েছে। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলার ও সখিপুরের ইতিহাসে এমন ঘৃণ্যতম অপরাধের প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হবে।
আরো পড়ুন।