কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি পাওয়ার জন্য স্থানীয় ও জেলেদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নাফ নদী খুলে দেওয়া দাবিতে স্থানীয় ও বঞ্চিত জেলেদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধনের অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি স্মারকলিপি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী হাতে তুলে দেন।
এ সময় নাফ নদী খুলে দেওয়ার দাবিতে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং পৌর সভার জালিয়া পাড়া, নাইট্যং পাড়া, সদরের বরইতলি, কেরুনতলী সহ হ্নীলার স্থানীয় জেলারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা ও মাদক আসার অজুহাতে ৭ বছর ধরে নাফ নদীতে মাছ শিকার হতে বিরত রাখা হয়েছে জেলেদের। এর ফলে এ নদী কেন্দ্রিক জীবন জীবিকা নির্বাহ করা হাজার হাজার জেলের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই অতি শীঘ্রই নাফ নদীতে মাছ শিকারের অনুমতির দেওয়ার দাবিতে আমরা জেলেরা মানববন্ধন কর্মসূচি এবং বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করি। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা না হলে আরো আমরা আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকিব।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, গুরা মিয়া, ছৈয়দ হোসাইন, মো: ইব্রাহিম, মো. শহিদ, আজগর আলী, শফিক আলম, গফুর, তৈয়ুব, জিয়াউর রহমান, ফরিদ, গণি সহ আরও অনেকেই।
বক্তারা আরও বলেন- নাফ নদী বন্ধ হলেও রোহিঙ্গা ও মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না। এই অজুহাতে কেন বন্ধ করা হয়েছে নাফ নদী? শীঘ্রই নাফ নদী খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের জেলে পরিবার গুলো খুবই আদাহারে- অনাহারে দিনাতিপাত করছে। টেকনাফ উপজেলায় এই নাফ নদীতে মাছ শিকার করে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। আমরা বর্তমান সরকারের প্রধান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের প্রতি নাফ নদী খুলে দিতে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি গ্রহণের পর টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন- ইতিমধ্যে আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবহিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জরুরী ভিত্তিতে কথা বলে জেলেদের সমাস্য সমাধান করা হবে বলে জানান।