টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের   ৩২হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক -২।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের   ৩২হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক -২।

শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ ( কক্সবাজার)।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৩২ হাজার পিস  ইয়াবা সহ ২ মাদক কারবারীকে আটক করেছে।
২৪  অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউপিস্থ ৫নং ওয়ার্ডের ডেগিল্যার বিল সাকিনের শাহপরীরদ্বীপ টু টেকনাফ গামী রাস্তা দিয়ে লবণ ভর্তি একটি ট্রাকে করে ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করিয়া নিয়ে যাচ্ছে মর্মে সংবাদ পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি।

পরবর্তীতে জনাব মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, পুলিশ সুপার, কক্সবাজার মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনা মোতাবেক টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃক একটি বিশেষ আভিযানিক টিম অভিযান শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক টিম টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউপিস্থ ৫নং ওয়ার্ডের ডেগিল্যার বিল এলাকায় অবস্থান করে। পরবর্তীতে শাহপরীরদ্বীপ থেকে টেকনাফ অভিমূখে লবণ ভর্তি একটি ট্রাক আসতে দেখে তা তল্লাশী করার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। সিগন্যাল অমান্য করিয়া চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশের আভিযানিক টিমটি ব্যারিকেড দিয়ে উক্ত গাড়িটিকে টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউপিস্থ ৫নং ওয়ার্ডের ডেগিল্যার বিল সাকিনের শাহপরীরদ্বীপ টু টেকনাফ গামী রাস্তার পূর্ব পাশে ইসমাইল টাওয়ার-২ এর দক্ষিণ পার্শ্বে জনৈক ডাক্তার এনামুল হকের ফাঁকা জায়গার উপর ট্রাকটি থামানো হয়। পরবর্তী উক্ত ট্রাকে থাকা ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেলফার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ১। দিলদার মিয়া (৪৫), পিতা-মৃত কালা মিয়া, মাতা-জাকিয়া বেগম, সাং-মফিজ সওদাগরের বাড়ি, কে এম আব্দুল হাকিম রোড়, মনসুরাবাদ, থানা-ডবলমুরিং, চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম, বর্তমান সাং-হাজির পাড়া, কালা মিয়া সওদাগরের বাড়ি, রাজাপালং ইউপি, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার এবং ২। মোঃ তৌহিদুল আলম (২৩), পিতা-মোঃ বদিউল আলম প্রঃ বদি ড্রাইভার, মাতা- হোসনে আরা বেগম, সাং-বড়লিয়া, আকামা সামশু জামালের বাড়ি, ৮নং ওয়ার্ড, মৌলভীহাট ইউপি, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রামদ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ট্রাক ড্রাইভার দিলদার মিয়া (৪৫) এবং হেলপার মোঃ তৌহিদুল আলম (২৩)’দ্বয়কে পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশের আভিযানিক টিমের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, ট্রাকে রাখা লবণের বস্তার নিচে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে ইয়াবা ট্যাবলেট রহিয়াছে। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেওযা তথ্য মতে ট্রাকে রাখা লবণের বস্তার নিচে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হইতে তাদের নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ১৬০নীল রংয়ের জিপার পলিপ্যাক পায়, যাহার প্রতিটি পলিপ্যাকের ভিতর ২০০ পিস করিয়া সর্বমোট ৩২,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাইয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। পরবর্তীতে ট্রাক ড্রাইভার দিলদার মিয়া (৪৫) এবং হেলপার মোঃ তৌহিদুল আলম (২৩)’দ্বয়কে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে তারা জানায় যে, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো উক্ত লবনের মালিক হোছন আহমদ (৩৫), পিতা-কালু মিয়া প্রঃ দুবাই কালু, সাং-ডেগিল্যার বিল, ৫নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এর নির্দেশে চট্টগ্রাম জেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো। তারা আরো জানায় যে, হোছন আহমদ (৩৫) দীর্ঘদিন যাবত লবণ ভর্তি ট্রাকে করে চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে আসছে। উক্ত বিষয়ে আটককৃত ব্যক্তি ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ধৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

আরো পড়ুন।

 

http://টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ৩২ হাজার পিস  ইয়াবা সহ ২ মাদক কারবারীকে আটক

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *