হরিপুরে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরু -মহিষের লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ।

হরিপুরে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরু -মহিষের লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ।

হরিপুরে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরু -মহিষের লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ।

মোঃ আবুল বাসার সাইফুল ক্রাইম রিপোর্টার।

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহি গরুর লাঙ্গলের  হালচাষ। বাংলার আটষট্রি হাজার গ্রাম নিয়ে গঠিত সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা ফসলে ঘেরা সোনার বাংলা আমাদের এই বাংলাদেশ। গানের ভাষায় বলা হয় এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের রানি সেজে আমার বাংলা ভুমি।
আমাদের দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক কৃষি কাজের মধ্যে জড়িত আর সেই জড়িত কৃষকের অর্জিত কষ্ট হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম এর এক নব দিগন্তের আলোর দিশারি অন্যতম প্রধান দিক হলো গরুর লাঙ্গলের হাল চাষ।
কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু, লাঙল, জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে যেত মাঠের জমিতে হালচাষ করার জন্য। আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই তো কৃষি ছোঁয়ায় দেখা যায় বেশ পরিবর্তন।
এ কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের উওরা অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এর  গ্রাম্য এলাকার মাঠ গুলোতে সকাল বেলা কাঁধে লাঙল-জোয়াল আর জোড়া গরুর দড়ি ও পাচুনি হাতে ঘাড়ে বাধানো ময়টা নিয়ে মাঠে যেতে দেখা যায় না কৃষকদের। শোনা যায়না ডিডি ঠাই সেই কৃষকের মুখের মিষ্টি-মধুর কথা গুলো। তাই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঙল দিয়ে হালচাষ। ৬৮হাজার গ্রাম বাংলার ৮০ ভাগ লোকের কৃষি প্রধান বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাঙ্গল-জোয়াল। চিরায়ত বাংলার রূপের সন্ধান করতে গেলে এই দুই কৃষি উপকরণের কথা যেমন অবশ্যই আসবে, তেমনই আসবে হালের গরুর কথাও।
আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে হাল চাষের পরিবর্তনে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় দেশের বিভিন্ন জেলার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষক গরু পালন করতো হাল চাষ করার জন্য। আবার কিছু মানুষ গবাদিপশু দিয়ে হাল চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।কিন্তু কালের বিবর্তন ডিজিটাল প্রযুক্তি আধুনিক করনের নিত্য নুতুন যন্ত্র যান আবিষ্কার এর ফলে আজকের সেই গরুর জোয়ালের লাঙ্গল চাষ দেখা মিলেনা বললে চলে।
আবার অনেকে তিল, সরিষা, কলাই, আলু চাষের জন্য ব্যবহার করতেন। এখন আর চোখে পড়ে না গরুর লাঙল দিয়ে চাষাবাদ।জমি চাষের প্রয়োজন হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়ার টিলারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চলাচ্ছে জমি চাষাবাদ। তাই এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা এখন পেশা বদলি করে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন।ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কৃষক মেহের হোসেন (৫০)জানান, আগের দিনে শুষ্ক কাটফাটা রোদে গরু দিয়ে হাল চাষ করেছি, কিন্তু আধুনিকতার ছোয়ায় আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে গরুর পরিবর্তে মানুষ এখন ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে জমি চাষ করে ফেলছে, তবে মাঝে মধ্যে জমি সমান করতে এখনো গরুর মই দিয়ে জমি সমান করতে দেখা যায়, বিশেষ করে এই শীতের সময় সরিষা এবং ভূট্রা চাষে, তবে হয়তো কোন এক সময় গরু দিয়ে হাল চাষ মই দেওয়া সময়ের অতল গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।

 

আরো পড়ুন।

 

 

http://দোকান দখলের প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *