টেকনাফে প্রেমিকের হাত ধরে প্রেমিকার পলায়ন,অতঃপর হয়রানী মূলক মামলা।
শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
টেকনাফের হ্নীলায় ভাই কর্তৃক মেয়ে তুলে নেয়ায় বোনের বিরুদ্ধে ভীক টীমের পরিবারের হয়রানি মূলক মামলার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা টি ঘটেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর হ্নীলার লেদাও হোয়াইক্যংয়ের নয়াপাড়া এলাকার দুই পরিবারের মধ্যে।
মামলার আসামী হোয়াইক্যং নয়াপাড়া এলাকার শফিক আহমেদের মেয়ে ও লেদাএলাকার আবুবক্করের স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী আয়েশা বেগম এই প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন
টেকনাফের হ্নীলা লেদা এলাকার আনসারুল হক ও ছালেহা বেগমের মেয়ে রাহুয়া( ১৭) ও হোয়াইক্যং নয়াপাড়া এলাকার শফিক আহমেদ ও ছেনুয়ারা বেগমের ছেলে শাহ কামাল(২২)। এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
এরই সূত্র ধরে গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে প্রেমিকা রাহুয়া প্রেমিক শাহ কামালের হাতধরে চলে যায়। এখবর জানাজানি হলে লেদাস্থ প্রেমিকা রাহুয়ার প্রতিবেশী হিসেবে অন্যের সংসারে বসবাসকারী প্রেমিক শাহ কামালের বড় বোন ৫ সন্তানের জননী আয়েশা বেগম কে সহ বাড়ির অন্যন্য সদস্যদের মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আয়েশা বেগম আরো জানান, আমার সংসার আলাদা, এলাকা আলাদা প্রেমিকা রাহুয়ার প্রতিবেশী বলে তারা উভয়ে উভয়ের ভালোবাসার টানে চলে যাওয়াতে আমার কি ভূমিকা ছিল, আমাকে কেন মামলা দেয়া হয়েছে, আমি তাদের প্রতিবেশী হওয়াটা কি আমার অপরাধ? আমি এলাকাবাসী, প্রশাসনের লোকজন, সহ সর্বস্থরের মানুষের কাছে এই বিচার দাবী করছি। যারা পালিয়ে গেছে তারা উভয়ে বিবাহ করে সূখের দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছে তাতে আমাদের করার কি আছে।
বর্তমানে আমার স্বামী বাড়ি ছাড়া,আমি ছোট ছোট ৫ জন অুঝ শিশু সন্তান নিয়ে কোথায় যাব পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেলে আমার এই ৫ জন অবুঝ শিশুদের অবস্থা কি হবে এই নিয়ে আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে একজন নারী হিসেবে সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে রাহুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কে বলেন, বর্তমানে আমরা ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমাকে কেউ প্ররোচনা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়নি। নিজের ইচ্ছায় শাহ কামালের হাত ধরে চলে আসছি। আমার বিবাহের ঘটনা নিয়ে কোনভাবে মামলা মোকাদ্দামা দিয়ে নিরীহ মানুষকে অথবা আত্মীয়-স্বজন দের হয়রানি না করার জন্য টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের রাহুয়ার বড় ভাই পারভেজের ০১৮২২৩৫৯৮৩৪ নাম্বার মোবাইলে বার বার ফোন করে নাম্বার বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার এস আই মোজাহেরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন।