বান্দরবানে প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

বান্দরবানে প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

বান্দরবানে প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

জেলা প্রতিনিধি

বান্দরবান সদর উপজেলা কুহালং ইউনিয়ন ৪নং ওর্য়াডের বালাঘাটা ভরাখালী হাজী সাহেব মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে,বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের বালাঘাটা ভরাখালী ৪নং ওর্য়াডে। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি মো:শামসুল আলম এর নিকটে বিস্তারিত সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জানান গত ২০২১ সালের পর থেকে রানিং ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক চিংচিংওয়ং মার্মা আমার কাছ থেকে কোনও ধরনের পরামর্শ না নিয়ে তিনি তার ইচ্ছামতে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন কি স্কুলেও ঠিক মত আসেননা স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ না করেও ভুয়া রশিদ তার স্বামী পিন্টু কুমার দে কে দিয়ে তৈরী করে টাকা উত্তোলন করেছেন ঐ প্রধান শিক্ষক।
এবং তার বাবা ক্ষমতাসীন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মংহ্লৈ চিং ও তার স্বামী পিন্টু কুমার দে আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে আমাকে মামলা হামলার দেবে৷ বলেও বেশ কয়েক বার হুমকি ধামকি ও বহু বার দিয়েছে। বারবার বিষয় টি আমি শিক্ষা অফিসার কে অবগত করি কিন্ত শিক্ষা অফিসার ও এই বিষয় টি সুরাহা করেন নি।দুঃখ জনক হলেও সত্যি আমি স্কুলের জমিদাতা ঐ জমিতে কোমল মতি শিশুদের খেলার মাঠে আরেক যুবলীগের নেতা রিয়াদ হোসেন টিনসেড ঘর তৈরি করে দীর্ঘ বছর শিশুদের খেলার মাঠ দখল করে রেখেছে এই বিষয় এ তাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই। স্কুলের পরিবেশ ও খুবেই খারাপ শিক্ষক দের ইচ্ছে মত তারা স্কুলে আসা যাওয়া করে মাসিক কোনো মিটিং এর চিটি পর্যন্ত আমি দীর্ঘ তিন বছর যাবত পাইনি।
সভাপতির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিংচিংওয়া মার্মা বিদ্যালয়ের কাজে তার স্বামীর পিন্টু কুমার দে এর সহায়তায় সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন অনিয়ম করেন দীর্ঘ প্রায় তিন বছর যাবত ভুয়া রশিদ তৈরী করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এব্যাপারে জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নান কে ১৭/ ০৮/২৪ ইং উক্ত বিষয়ে বিষয়টি অবগত করেন। তিনি সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য গত ১৮/০৯/২৪ ইং তারিখে স্কুলে যান। স্কুলে গিয়ে যথা সময়ে ঐ প্রধান শিক্ষককে যথাযত সময়ে স্কুলে উপস্থিত পাননি। স্কুল থেকে এসেই তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার মহাজন সহ দুই বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন। এবং সাতকর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেন কিন্তু ১২ কর্ম দিবস পার হয়ে যাওয়ার পরও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেইনি তারা। এবং উনার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । এবং ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের অভিযোগ এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক অতিসত্বর স্কুল থেকে অপসারণ করার জোর দাবি জানান তারা।
উক্ত বিষয় টি বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজ কে অবগত করলে বিষয় টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।

 

আরো পড়ুন।

 

 

http://টেকনাফে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মানববন্ধন

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *