টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ১১দফা দাবী, ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি
শামসুল আলম শারেক,টেকনাফ ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা
ফিরিয়ে আনতে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপিতে ১১ দফা দাবী তুলে ধরা হয়।
সংস্কারের দাবি সমূহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে দশম শ্রেণির ছাত্র মোঃ রিফাত আলমের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল১১টায় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আদনান চৌধুরীর দপ্তরে এই স্মারকলিপিপ্রদান করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবী সমূহ তিনি মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং শিগগিরই এর ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।
পরে টেকনাফ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনে বীর চট্টলার প্রথম শহীদ ওয়াসিম চত্বরের প্রতিকৃতিতে (মোরালে) শ্রদ্ধা জানান।
শিক্ষার্থীরা স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, টেকনাফ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি সম্পদের ভরপুর এবং প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থীরা অধ্যায়ন করে আসলেও শিক্ষার পরিবেশ, নিয়ম শৃঙ্খলা ও শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।
এ প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃত্ববাদীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা এর খেসারত দিতে গিয়ে ওদের রোষানলে পড়ে শিক্ষা জীবন থেকে ছিটকে পড়ছে। প্রায় ১৫ শত শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে আসছে।অতীত এবং বর্তমান এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এর ঐতিহ্য ও সুনাম তিলে তিলে হারিয়ে যেতে বসেছে।
সেই সাথে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাসও ভালোবাসা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। এ চলমান পরিস্থিতিতে যোগ্য প্রধান শিক্ষক এ প্রতিষ্ঠানে আসতে চায়না। আসলেও রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে চলে যায়। সাবেক প্রধান শিক্ষক এর অভিযোগ এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা শিক্ষার্থী এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সবার সাথে আলোচনা করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
৫ আগষ্ট কোটা সংস্কার ও ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ স্থানীয় রাজনৈতিক লোকদের পরিবর্তন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি পদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলে আসে উৎসাহ উদ্দীপনা।শিক্ষার্থীদের সংস্কাকারের দাবির মধ্যে রয়েছে, রাজনৈতিক মুক্ত প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস, বিদ্যালয়ের সামনে মাছ বাজার উচেছদ করা,শহীদ মিনার সংস্কার করা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন সংস্কার করা, স্কাউট দলের যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, বিদ্যালয়ে ক্যান্টিন স্থাপন নিশ্চিত করা, ২০২৪ সালের উপ-বৃত্তির তালিকা পূনরায় তদন্ত করা, শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, বিদ্যালয়ে শৃংখলা কমিটি সংস্কার করা, বিদ্যালয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, টয়লেট ও শৌচাগার এর সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী স্মারকলিপি গ্রহনের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এবিষয়ে শিগগিরই দাবীগুলো খতিয়ে দেখা হবে।।
আরো পড়ুন।
http://ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষে স্বপ্ন বুনছে রানীশংকৈল উপজেলার আদা চাষিরা