ফের টেকনাফে পুলিশের অভিযানে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য আটক

ফের টেকনাফে পুলিশের অভিযানে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য আটক।

 

ফের টেকনাফে পুলিশের অভিযানে অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য আটক

শামসুল আলম শারেক ,টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।

কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ফের অপহরণ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য  আটক হয়েছে। এসময় এক ভিকটিমকে ও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছনখোলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুল খায়েরের ছেলো মোঃ তারেক হোসেন (২৮) ও কালা মিয়ার ছেলে সাহাব উদ্দিন (২৬)।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি  আরো জানান, গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) সাড়ে ৯ টার দিকে ভিকটিম পিএমখালী ৪নং ওয়ার্ড পরানিয়া পাড়ার মোঃ হোছনের ছেলে আবু সিদ্দিক (২১) পেশায় একজন সিএনজি ড্রাইভার। ভিকটিম সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত।

কক্সবাজার সদর থানাধীন পিএমখালী ইউপিস্থ বাংলা বাজার এলাকায় যাত্রীর উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। যাত্রী হিসেবে দুইজন এসে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ মোচনী পাড়া সাকিনে মোচনী সিএনজি স্টেশন আসবে বলে সিএনজি ভাড়া করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের গাড়িতে যাত্রী বেশে উঠা অপহরণকারীরা মোচনী সিএনজি স্টেশন পৌঁছালে উক্ত ভিকটিমকে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ মোচনী পাড়া সাকিনে নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামনে শুক্কুর মিয়ার ব্রিকফিল্ডের পাশে নামিয়ে দিতে বলে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে উক্ত অপহরণকারীরা মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সামনে শুক্কুর মিয়ার ব্রিকফিল্ডের পাশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১০/১২ জন অপহরণকারী সদস্য অবস্থান করেছিল । ভিকটিম উক্ত স্থানে পৌঁছামাত্র অপহরণকারী ও অন্যান্যরা ১০/১২জন  ভিকটিমকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং ভিকটিমকে অস্ত্রের মূখে ভয় দেখিয়ে তার মূখ চেপে ধরে নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরে নিয়ে আটক করে রাখে এবং তাকে মারধর করে তার পরিবারের নিকট ফোন দিতে বলে। একপর্যায়ে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮২৯-৩৫১৩৩৪ থেকে ভিকটিমের বাবার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮৩৩-০৫৬০৯৯ নম্বরে ফোন করে এবং মুক্তিপণ বাবদ ৬ লক্ষ টাকা দাবী করে। ভিকটিমের বাবা মুক্তিপণের টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে ভিটিকমকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে টেকনাফ মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে থানা পুলিশকে তার ছেলের অপহরণের বিষয়টি অবগত করে।
এরপর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেন। গোপন অনুসন্ধান ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশের অভিযানিক টিম ভোরে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ মোচনী পাড়া সাকিনে নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে উপস্থিত হলে অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে মোঃ তারেক হোসেন (২৮) এবং সাহাব উদ্দিন (২৬) কে গ্রেফতার করে ভিকটিম আবু সিদ্দিক (২১) কে উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিম আটক ও পলাতকদেরসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-২১/৫৪২, তাং-০৮/১০/২০২৪ইং, ধারা-৩৬৫/৩৮৫/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।

তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, হ্নীলা নাটমোরা পাড়া এলাকার আতিক অপহরণের পর  হ্নীলা এলাকায়  অপহরণ প্রতিরোধে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী,শিক্ষক,ব্যবসায়ী  ও সূশীল সমাজের লোকজন মানববন্ধন করে জানান দিলে আইনশৃংখলা বাহিনীর টনক নড়ে।ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রশাসনের অভিযানে অপহরণ চক্রের সদস্যরা আটক হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী আইনশৃংখলা বাহিনীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সচেতন এলাকারাসীর দাবী প্রশাসন চাইলে কোন অপরাধী পার পেতে পারেনা। এব্যাপারে পুলিশের আরো সাঁড়াশিঅভিযান জোরদার করার দাবী জানান তারা।

আরো পড়ুন।

 

http://বান্দরবান বালাঘাটা শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *