সখিপুরের সড়ক তিনচাকার যানের দখলে – মানা হচ্ছে না আইন।

সখিপুরের সড়ক তিনচাকার যানের দখলে – মানা হচ্ছে না আইন।

সখিপুরের সড়ক তিনচাকার যানের দখলে - মানা হচ্ছে না আইন।

আব্দুল লতিফ মিয়া
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি;

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় অনিয়ন্ত্রিত গতিতে তিন চাকার যান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চলায় প্রতিনিয়ত সড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা ঘটছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়,সখিপুর তালতলা চত্বরে দীর্ঘ সময় জ্যামে আটকে আছে জরুরি সেবার গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহন। উপজেলার আশেপাশে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের রাস্তা হওয়ায় প্রতিনিয়ত সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোন একসময় সীমাবদ্ধ ছিল চার চাকার যানবাহন।বাস আঞ্চলিক সড়কের যাত্রীদের প্রধান বাহন থাকলেও এখন তা যাত্রী সংকটে দিনে দু’একটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বাসের ড্রাইভার বুলবুল জানান,বড় গাড়ির খরচ বেশি হওয়ায় বেশি যাত্রী না হলে যাওয়া যায় না। আর যাত্রীরা খুব সহজেই অটোভ্যান,অটোরিকশা টেম্পু,সিএনজির মতো যানবাহনে অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। এসব গাড়ির কোন বৈধতা না থাকলেও সড়ক ঐসব গাড়ির দখলে। জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের অন্যতম বাহন সিএনজি কাগজপত্র থাকলেও অনেকের কাগজপত্র মেয়াদত্তীর্ণ। তাছাড়া এসব চালকের ট্রাফিক আইন সম্পর্কীয় জ্ঞান নেই। বিকেলে দেখা হয় অটোভ্যান নিয়ে জেলখানা মোড়ে দিকে যাত্রী প্রত্যাশী ১১-১২বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া সুমনের সঙ্গে প্রতিবেদককে জানায়, আমাদের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া। আমরা ভাড়া বাসায় থাকি,তাছাড়া সখিপুরে যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমার বাবাও ভ্যান চালায়। সখিপুরের সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে নিয়ন্ত্রণহীন গতিই দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ। প্রতিবছর দুই গাড়ির অসম প্রতিযোগিতায় ভয়াবহ দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে সড়কে ঝরে অসংখ্য তাজা প্রাণ।এসব গাড়িতে অতি সংবেদহীন ক্রপ ম্যাপিং এলইডি লাইট থাকায় পথচারীদের ভোগান্তি চরমে। এসব লাইটের আলো চোখে ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যঝুঁকির শংঙ্কা রয়েছে। উপজেলা যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাজাহান জানান,আঞ্চলিক মহাসড়কে তিনচাকার মোটরযান চলার নিয়ন্ত্রণ কঠোর হলে অনেকাংশে দূর্ঘটনা কমে আসবে। এসব তিনচাকার মোটরযান যত্রতত্র পাকিং ও সুনির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা না মানায় প্রায়ই যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।বাংলাদেশ সড়ক আইন উপধারা(১)অনুসারে কোন এলাকায় এসব পরিবহন প্রয়োজনীয় সংখ্যার অধিক হলে,অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিধান থাকলেও সঠিক সংখ্যাও নির্ধারণ করা নেই। গণমাধ্যমকর্মী ইলিয়াস কাশেম বলেন,এসব গাড়ির সুনির্দিষ্ট সংখ্যার তালিকা, পৌরএলাকায় চলাচলের জন্য লাইসেন্স ও অনুমতি পত্রের ব্যবস্থা করলে অপরাধ কমবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা দেখা যাবে। এবিষয়ে টাঙ্গাইল ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন)মো.দেলোয়ার হোসেন ভোরের কাগজের প্রতিনিধিকে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন,নম্বরবিহীন এসব যানবাহন পৌরসভা নিয়ন্ত্রণ করে।তিনি আরও বলেন,উপজেলার ভিত্তিক আঞ্চলিক সড়কের শৃঙ্খলা রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।

আরো পড়ুন।

 

 

http://টেকনাফে প্রয়াত বিএনপি নেতার ইসালেছওয়াব মাহফিলে বক্তারা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *